পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিযোগাযোগ কোম্পানিটি ২০২০ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের এ তথ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ২৫ শতাংশ মার্জিন নিয়ে গ্রামীণফোনের করপরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮৯০ কোটি টাকা অর্থাৎ শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৬ দশমিক ৫৯ টাকা।
নয় মাস শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৭ কোটি ৭৬ লাখ, যার মধ্যে ৫৪ দশমিক ১ শতাংশ বা ৪ কোটি ২০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বন্ধ থাকা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ধীরে ধীরে শুরু হওয়ায় তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ব্যবসায়িকভাবে ফিরে আসতে শুরু করেছে।
“তবে এই প্রান্তিকে বিরূপ আবহাওয়া আমাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলেছে। তবু আগের প্রান্তিকের তুলনায় ৪ দশমিক ১ শতাংশ বেশি গ্রাহক আমাদের নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছেন।”
গ্রামীণফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, ২০২০ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি ও বন্যা কোম্পানিকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
“তবু বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৮ দশমিক ১ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির পর তৃতীয় প্রান্তিকে আমরা উল্লেখযোগ্যভাবে ফিরে আসতে সমর্থ হয়েছি।”
এ সময়ে ভয়েস ও ডাটাসহ মোট রাজস্ব আদায়ে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে জানিয়ে ইয়েন্স বেকার বলেন, প্রথম নয় মাসে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ডিজিটাল রির্চাজে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ৩২০ কোটি (লাইসেন্স ও লিজ বাদে) টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ সময়ে ১ হাজার ৭০টি নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪৮১টি। ২০২০ সালের প্রথম নয় মাসে গ্রামীণফোন সরকারের কোষাগারে কর, ভ্যাট, ডিউটি, ফোরজি লাইসেন্স ও স্পেকটার্ম এসাইনমেন্ট বাবদ মোট রাজস্বের ৬৮% বা ৭ হাজার ১২৭ কোটি টাকা জমা দিয়েছে।