এই অনুমতির মাধ্যমে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত আইসিবিকে মুনাফা বাড়িয়ে দেখানোর সুযোগ করে দিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আইসিবিকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে ধারণকৃত শেয়ারের ‘পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সংরক্ষণের ঐচ্ছিক সুবিধা’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
সরাকরি মালিকানাধীন আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতেই এ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিএসইসি।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজারে কোনো শেয়ারে বিনিয়োগ করার পর যদি ওই শেয়ারের দাম কমে যায়, তখন আর্থিক প্রতিবেদনে সম্ভাব্য লোকসান দেখাতে একটি খরচ বা প্রভিশন যোগ করতে হয়। ওই খরচ দেখালে মুনাফা কমে যায়।
বিএসইসির অনুমতি পাওয়ায় আইসিবি ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের আর্থিক প্রতিবেদনে সম্ভাব্য ক্ষতির ওই হিসাব যোগ না করে তাদের মুনাফা বাড়িয়ে দেখাতে পারবে।
এর আগে মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক ব্রোকার ও ডিলারদেরও একই ধরনের সুযোগ দিয়েছিল বিএসইসি।
১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইসিবির শেয়ার এখন লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬০ কোটি ১৩ লাখ টাকা মুনাফা করে আইসিবি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছে প্রতি ১০০ শেয়ারে নতুন ১০টি করে শেয়ার।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ৭৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫৯টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৬৯ দশমিক ৮১ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া সরকারের হাতে আছে ২৭ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ১ দশমিক শূন্য ৪৬ শতাংশ শেয়ার আছে।
আইসিবির বর্তমান বাজার মূলধন ৭ হাজার ১৬৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৭৬৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।