মীর আক্তারের শেয়ারের প্রান্তসীমা মূল্য ৬০ টাকা

যোগ্য বিনিয়োগকারী বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে নিলামের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়াধীন মীর আক্তার হোসেন লিমিটেডের শেয়ারের কাট অব প্রাইস বা প্রান্তসীমা মূল্য ৬০ টাকা নির্ধারিত হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Oct 2020, 03:52 AM
Updated : 14 Oct 2020, 08:37 AM

সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে লটারির মাধ্যমে প্রান্তসীমা মূল্য থেকে ১০ শতাংশ কমে অর্থ্যাৎ ৫৪ টাকায় এই কোম্পানির শেয়ার পাবেন।

যোগ্য বিনিয়োগকারীদের ইলেক্ট্রনিক সাব্সক্রিপশনের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত ইএসএস বাংলাদেশের ওয়েসবাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

১৩ অগাস্ট মীর আক্তার হোসেনকে পুঁজিবাজার থেকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ১২৫ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এরপর বুকবিল্ডিং পদ্ধতির নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ারের দাম ঠিক করার জন্য নিলাম ডাকা হয়। ৪ অক্টোবর বিকাল ৫টা থেকে ৭ অক্টোবর বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলা নিলামে নিলামে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ৬৮ কোটি ৯১ লাখ ৬৬ হাজার ৮০০ টাকার শেয়ার কিনে নেওয়ার জন্য দাম হাঁকান।

এবিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিলাম শেষে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের তাদের দামের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ১২ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, নিলাম শেষ হলেই শেয়ারের প্রান্তসীমা মূল্য ঘোষণা করা সম্ভব হয় না। কারণ যোগ্য বিনিয়োগকারীরা যে চেক জমা দেন, কখনো কখনো সেটা থেকে টাকা পাওয়া যায় না। তখন যার টাকা থাকে তাকে শেয়ার দেওয়া হয়। এসব সমন্বয়ের জন্য সময় লাগে।

নিলাম শেষে মীর আক্তার হোসেনের শেয়ারের কাট অব প্রাইস বা প্রান্তসীমা মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৬০ টাকা। 

নিলামে মোট ২৪৫ জন বিনিয়োগকারী অংশ নেন। শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম উঠে ৯৪ টাকা, সর্বনিম্ন দাম ১৪ টাকা।

যে বিনিয়োগকারী যে দাম বলেন তাকে সেই দামে শেয়ার কিনে নিতে হয়। এভাবে ৬০ টাকায় এসে সমস্ত শেয়ার বিক্রি হয়ে যায়। ৬০ টাকার নিচে কেউ শেয়ার পাননি।

নিলামে শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম কত হতে পারে তার কোনো সীমা ছিল না। তবে শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম ১০ টাকার উপরে হতে হবে এরকম নিয়ম ছিল।

নিলাম শেষে ৭৩ জন বিনিয়োগকারী ১ কোটি ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪৭টি শেয়ার পান। তাদের খরচ হয় ৬৮ কোটি ৯১ লাখ ৬৬ হাজার ৮০০ টাকা।

অংশীদারি ব্যবসা  থেকে ১৯৮০ সালে প্রাইভেট কোম্পানিতে রূপ নেয় মীর আক্তার হোসেন। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন কোম্পারি ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

কোম্পানিটি সড়ক, সেতু, রেল পথ, পাঁচ তারকা হোটেল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বড় স্থাপনা তৈরি করে থাকে।   

২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা মুনাফা করেছে মীর আক্তার হোসেন। পরের চার বছরেও মুনাফায় ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি দেখিয়ে সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৬৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা মুনাফা করেছে।

কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড।