অর্থাৎ, ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ৫০ পয়সা করে পাবেন।
৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য এই লভ্যাংশ দেওয়া হবে।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর সাধারণ সভায় এবারের লভ্যাংশের অনুমোদন নিতে হবে। সেজন্য রেকর্ড ডেট ঠিক হয়েছে ১৫ নভেম্বর।
২০১২ সালে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর এবারই সবচেয়ে কম মুনাফা দেখিয়েছে এনভয় টেক্সটাইল। এবারের লভ্যাংশও সবচেয়ে কম।
লভ্যাংশের এই খবরের পর এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেডের শেয়ারের দাম কমেছে। সোমবার যেখানে এ শেয়ার ঢাকার পুঁজিবাজারে ২৯ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল, মঙ্গলবার তা লেনদেন হচ্ছে ২৬ টাকা ৭০ পয়সায়।
এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেডের লাভের খতিয়ান
অর্থবছর | মুনাফা | লভ্যাংশ |
২০১১-১২ | ৪২ কোটি ৪২ লাখ টাকা | প্রতি শেয়ারে ১ টাকা ৫০ পয়সা এবং প্রতি ১০০ শেয়ারে ৫টি নতুন শেয়ার |
২০১২-১৩ | ৪৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা | প্রতি শেয়ারে ১ টাকা ৭০ পয়সা এবং প্রতি ১০০ শেয়ারে ৩টি নতুন শেয়ার |
২০১৩-১৪ | ৩১ কোটি ৯ লাখ টাকা | ১ টাকা ২০ পয়সা এবং প্রতি ১০০ শেয়ারে ৩টি নতুন শেয়ার |
২০১৪-১৫ | ৫৭ কোটি ১২ লাখ টাকা | প্রতি শেয়ারে ১ টাকা ৭০ পয়সা এবং প্রতি ১০০ শেয়ারে ৫টি নতুন শেয়ার |
২০১৫-১৬ | ৩৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা | প্রতি শেয়ারে ১ টাকা ২০ পয়সা এবং প্রতি ১০০ শেয়ারে ৩টি নতুন শেয়ার |
২০১৬-১৭ | ৩২ কোটি ১২ লাখ টাকা | প্রতি শেয়ারে ৭০ পয়সা এবং প্রতি ১০০ শেয়ারে ৫টি নতুন শেয়ার |
২০১৭-১৮ | ৩২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা | প্রতি শেয়ারে ১ টাকা এবং প্রতি ১০০ শেয়ারে ২টি নতুন শেয়ার |
২০১৮-১৯ | ৫৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা | প্রতি শেয়ারে ১ টাকা ৫০ পয়সা |
২০১৯-২০ | ২৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা | প্রতি শেয়ারে ৫০ পয়সা |
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ১৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬৭টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৪৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪১ দশমিক ৯০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ১২ দশমিক শূন্য ৪৫ শতাংশ শেয়ার আছে।
এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেডের বর্তমান বজার মূলধন ৪৯৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ৩৬৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।