ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে সরে এল এমআই সিমেন্ট

করোনাভাইরাসের ধাক্কায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2020, 01:22 PM
Updated : 11 Oct 2020, 01:22 PM

রোববার এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে এসব তথ্য জানিয়েছে।

পাশাপাশি ‍তিনটি নতুন সহযোগী প্রতিষ্ঠান খুলে তিনটি সমুদ্রগামী জাহাজের মালিকানা হস্তান্তর করার পরিকল্পনাও আপাতত বাদ দিয়েছে কোম্পানিটি।

গত বছরের প্রথম দিকে সিমেন্ট উত্পাদনের জন্য ৬ নম্বর ইউনিট বানানোর ঘোষণা দিয়েছিল এমআই সিমেন্ট।

ডিএসইতে দেওয়া ঘোষণায় কোম্পানিটি বলছে, মহামারীর কারণে আন্তর্জাতিক ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ৬ নম্বর ইউনিট বানানোর জন্য অর্থের যোগানও বন্ধ হয়ে গেছে। তাছাড়া বর্তমান উত্পাদনক্ষমতার চেয়েও চাহিদা কম। তাই প্রকল্পটি বাদ দেওয়া হলো।

মালিকানা হস্তান্তরের আওতায় থাকা সমুদ্রগামী জাহাজ তিনটির মালিকানা এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরির থাকছে। যে তিনটি কোম্পানি খোলা হয়েছিল সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি শেয়ার রোববার ঢাকার পুঁজিবাজারে ৪৩ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল। খবরের পর শেয়ারের দাম কমেছে। আগের দিন শেয়ারটি ৪৪ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি মুনাফা করেছিল ৩১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছে প্রতি শেয়ারে ১ টাকা ৫০ পয়সা।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি মুনাফা করেছিল ২৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। লভ্যাংশ দিয়েছে প্রতি শেয়ারে ১ টাকা।

পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ১৪ কোটি ৮৫ লাখ শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৬৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।

এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আছে দশমিক ২২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৫ দশমিক শূন্য ৬৭ শতাংশ শেয়ার আছে।

এমআই সিমেন্ট ফ্যাক্টরি লিমিটেডের বর্তমান বজার মূলধন ৬৫৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ২৭১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।