মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) জানিয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সোমবার এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে।
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিপরীতে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগকে মার্জিন ঋণ বলা হয়।
এখন বিনিয়োগের ৫০ শতাংশ মার্জিন ঋণ নেওয়া যায়। অর্থাৎ কারও ১ টাকা বিনিয়োগ থাকলে তিনি ৫০ পয়সা ঋণ নিতে পারেন।
নতুন নিয়মে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান যত কম হবে, মার্জিন ঋণের সুযোগ তত বাড়বে। সূচক যত উপরের দিকে উঠতে থাকবে, ঋণের সুযোগ তত কমতে থাকবে।
পরিবর্তিত নিয়মে ডিএসইএক্স ৪ হাজার পয়েন্টের নিচে থাকলে বিনিয়োগের অনুপাতে ৭৫ শতাংশ ঋণ নেওয়া যাবে। অর্থাৎ কারও ১ টাকার বিনিয়োগ থাকলে তিনি শেয়ার কিনতে আরও ৭৫ পয়সা ঋণ নিতে পারবেন।
দ্বিতীয় ধাপে ডিএসইএক্স ৪ হাজার থেকে ৭ হাজার পয়েন্টের মধ্যে থাকলে ৫০ শতাংশ মার্জিন ঋণ পাবেন বিনিয়োগকারী। অর্থাৎ ১ টাকার বিনিয়োগে ৫০ পয়সা ঋণ মিলবে।
তৃতীয় ধাপে ডিএসইএক্স ৭ হাজার পয়েন্টের উপরে থাকলে বিনিয়োগের ২৫ শতাংশ ঋণ মিলবে। অর্থাৎ ১ টাকার বিনিয়োগে ২৫ পয়সা মার্জিন ঋণ নেওয়া যাবে।
নতুন নিয়ম ১ অক্টোবর ২০২০ থেকে কার্যকর হবে বলে বিএসইসি জানিয়েছে।
বর্তমানে শুরুর ধাপে ডিএসইএক্স ৪ হাজার পয়েন্টের নিচে থাকলে বিনিয়োগের অনুপাতে ১০০ শতাংশ ঋণ নেওয়া যায়। দ্বিতীয় ধাপে ডিএসইএক্স ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার পয়েন্টের মধ্যে থাকলে ৭৫ শতাংশ মার্জিন ঋণ পায় বিনিয়োগকারী।
তৃতীয় ধাপে ডিএসইএক্স ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার পয়েন্টের মধ্যে থাকলে বিনিয়োগের ৫০ শতাংশ ঋণ মেলে। চতুর্থ ধাপে ডিএসইএক্স ৬ হাজার পয়েন্টের উপরে থাকলে বিনিয়োগের ২৫ শতাংশ ঋণ নেওয়া যায়।