সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।
সিঙ্গারের পরিচালনা পর্ষদ ইতোমধ্যে এই আত্মীকরণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। এখন বিনিয়োগকারী এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতি পেলেই ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপ্লায়েন্স লিমিটেডের আর স্বতন্ত্র অস্তিত্ব থাকবে না।
একত্রিকরণের পরে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাপ্লায়েন্স লিমিটেডের সমস্ত সম্পদ এবং দায়ের মালিক হবে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড।
সেজন্য সিঙ্গারকে ঋণদাতা ব্যাংকের কাছ থেকে সম্মতি নিতে হবে এবং হাই কোর্টের সবুজ সংকেত পেতে হবে।
১৯৮৩ সালে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড। বর্তমানে এই কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০১৭ সালে সিঙ্গার মুনাফা করেছে ৭৫ কোটি ৮ লাখ টাকা; বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিয়েছে প্রতি শেয়ারে ১০ টাকা।
২০১৮ সালে এ কোম্পানির মুনাফা ছিল ৯১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। সে বছর বিনিয়োগকারদের প্রতি ১০০ শেয়ারে ৩০টি নতুন শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছিল সিঙ্গার।
২০১৯ সালে তারা ১০৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা মুনাফা করেছে এবং প্রতি শেয়ারে ৭ টাকা ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ৯ কোটি ৯৭ লাখ ২ হাজার ৮৩৮টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৫৭ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ, বিদেশিদের হাতে ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৯ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার আছে।
সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের বর্তমান বজার মূলধন ১ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৯৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ২১৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।