দুই ব্যাংককে বন্ড ছাড়ার অনুমোদন

বেসরকারি খাতের দুই ব্যাংককে বন্ড ছেড়ে থেকে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2020, 04:52 PM
Updated : 26 August 2020, 04:52 PM

এর মধ্যে ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে। প্রতি ইউনিটের দাম হবে ১ কোটি টাকা। এই বন্ডে বিনিয়োগ করলে প্রতিবছর মিলবে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ মুনাফা।

আর স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ৮৫০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করবে, প্রতি ইউনিটের দাম হবে ১০ লাখ টাকা। এই জিরো কুপন বন্ডের ডিসকাউন্ট রেট হবে ৪ থেকে ৫ শতাংশ ।

বুধবার বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক বন্ডের মাধ্যমে তোলা টাকা দিয়ে ব্যবসার মূলধন ভিত্তিকে শক্তিশালী করবে বলে জানিয়েছে।

এই বন্ডটি কিনতে পারবে সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক রুরাল ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাস্ট ও স্বায়ত্তশাসিত কর্পোরেশন।

এটি একটি পার্পেচুয়াল বন্ড, অর্থাৎ এর কোনো ম্যাচিউরিটি ডেট নেই। এটি হবে নন কনভার্টেবল, অর্থাৎ এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে না এবং এই বন্ডের টাকা তুলতে কোনো জামানত জমা দেওয়া হয়নি।

বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে আছে গ্রিন ডেল্টা ইন্সুরেন্স লিমিটেড। আর লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে আছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে জানিয়েছে, বন্ড ছেড়ে বাজার থেকে ৮৫০ কোটি টাকা তুলে তারা ব্যবসা বাড়াবে।

এই বন্ডটি কিনতে পারবে সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাস্ট ও স্বয়ত্তশাসিত কর্পোরেশন।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের এই বন্ডেরও কোনো ম্যাচিউরিটি ডেট থাকবে না এবং এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে না। এটি একটি জিরো কুপন বন্ড এবং এটি তালিকাভুক্ত হবে না।

বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে আছে ইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড। আর লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড।