সুহৃদের পরিচালকদের শেয়ার জব্দ

পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত সুহৃদ ইন্ডাসট্রিজের পরিচালকদের শেয়ার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া অবধি জব্দ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 July 2020, 06:53 PM
Updated : 22 July 2020, 06:53 PM

মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিএসইসির মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

লভ্যাংশ নিয়ে জালিয়াতি করায় সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলন, “সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লভ্যাংশ ঘোষণা করে বিনিয়োগকারীদের দেয়নি। বিএসইসির কাছে জানিয়েছে যে তারা সব লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের দিয়ে দিয়েছে। তারা মিথ্যাচার করেছে। এ কারণে বিএসইসি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।”

সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালকদের শেয়ার জব্দ রাখার পাশাপাশি তাদের আর্থিক প্রতিবেদন বিশেষভাবে নিরীক্ষা করার জন্য বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে বিএসইসি।

এছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) সরেজমিনে গিয়ে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তার প্রতিবেদন বিএসইসিকে দিতে বলা হয়েছে।

গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ।

তারা এজিএম করে ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে। নিয়ম অনুযায়ী এজিএমের ৩০ দিনের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ বুঝিয়ে দিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জানাতে হয়।

সুহৃদ ইন্ডাসট্রিজ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে জানায়, তারা সমস্ত লভ্যাংশ দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু পরে খতিয়ে দেখা যায় যে সবাই লভ্যাংশ পায়নি।

২০১৭ সালে সুহৃদ ইন্ডাসট্রিজের লোকসানের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি টাকা, ২০১৮ সালে তারা মুনাফা দেখায় ২ কোটি ১২ লাখ টাকার মত। ২০১৯ সালে মুনাফা দেখায় ৮ কোটি টাকার মতো।

২০১৫, ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে কোন লভ্যাংশ দেয়নি সুহৃদ ইন্ডাসট্রিজ।২০১৮ সালে দেয় ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ এবং ২০১৯ সালে দেয় ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ।

২০১৪ সালে ঢাকার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সুহৃদ ইন্ডাসট্রিজের শেয়ার এখন লেনদেন হয় ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।

এ কোম্পানির মোট ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫০ টি শেয়ারের মধ্যে মাত্র ১২ দশমিক ০১ শতাংশ শেয়ার আছে এর উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে, ২১ দশমিক ৯৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে এবং ৬৬ দশমিক ০৩ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে।