বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।
ক্রমাগত দাম বাড়তে থাকায় মঙ্গলবার শ্যামপুর সুগারের কাছে কারণ জানতে চেয়েছিল ডিএসই। জবাবে ওই কোম্পানি বলেছে, তাদের কাছে অপ্রকাশিত এমন কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই, যার প্রভাবে শেয়ারের দাম বাড়তে পারে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯ জুলাই শ্যামপুর সুগারের শেয়ারের দাম ছিল ২৩ টাকা ৮০ পয়সা, যা বাড়তে বাড়তে বুধবার ৩৮ টাকা ২০ পয়সায় উঠেছে।
অর্থাৎ, ৯ কার্যদিবসে দাম বেড়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা বা ৪৩ দশমিক ৭০ শতাংশ।
শ্যামপুর সুগারের শেয়ারের ক্ষেত্রেও মৌল ভিত্তির অনুপাতে দাম বৃদ্ধির গতি বেশি হওয়ায় ডিএসই চিঠি পাঠায়। গত ৫ বছরে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি এ কোম্পানি।
২০১৫ সাল শ্যামপুর সুগারের লোকসানের পরিমাণ ছিল ৩৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, ২০১৬ সালে ৩৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
এরপর ২০১৭ সালে ৩২ কোটি ৮৭ লাখ, ২০১৮ সালে ৪৬ কোটি ৯০ লাখ এবং ২০১৯ সালে ৬৩ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা লোকসান দেখিয়েছে শ্যামপুর সুগার কর্তৃপক্ষ।
১৯৯৬ সালে ঢাকার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শ্যামপুর সুগারের শেয়ার এখন লেনদেন হয় ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে।
এ কোম্পানির মোট ৫০ লাখ শেয়ারের মধ্যে ৫১ শতাংশ শেয়ার আছে সরকারের হাতে, ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে এবং ৪৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে।