দুই কোম্পানির শেয়ারের অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি

শেয়ারের দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়লেও তার কোনো যৌক্তিক কোনো কারণ দেখাতে পারেনি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুটি কোম্পানি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2020, 01:08 PM
Updated : 19 July 2020, 01:08 PM

এ দুটি কোম্পানি হল ফাইন ফুডস লিমিটেড ও জিল বাংলা সুগার মিল লিমিটেড।

রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে জানানো হয়, তাদের শেয়ারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ডিএসই কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন রেখেছিল, কিন্তু কারণ জানা যায়নি।

১৮ দিনে ফাইন ফুডসের শেয়ারটির দাম বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।

ক্রমাগত দাম বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার ফাইন ফুডসের কাছে কারণ জানতে চায় ডিএসই।

জবাবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের কাছে অপ্রকাশিত এমন কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই, যার প্রভাবে শেয়ারের দাম বাড়তে পারে। 

বাস্তব কারণ ছাড়া শেয়ারের দাম বাড়লে তা স্থায়ী হয় না। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা বেশি দামে শেয়ার কিনে পরে ক্ষতিগ্রস্ত হন। শেয়ারের দর অস্বাভাবিক বাড়লে স্টক এক্সচেঞ্জ কোম্পানির কাছে তার ব্যাখ্যা চায়।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৮ জুন ফাইন ফুডসের শেয়ারের দাম ছিল ৪২ টাকা, যা ১৬ জুলাই হয় ৫৬ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ ১৩ কার্যদিবসে দাম বেড়েছে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা বা ৩৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।

কোম্পানিটি ২০১৭ সাল মুনাফা করেছে ৮৬ লাখ, ২০১৮ সালে ১০ লাখ এবং ২০১৯ সালে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা।  

কোম্পানিটি ২০১৯ সালে ২ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

ঢাকার পুঁজিবাজারে এখন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেনে থাকা ফাইন ফুডস লিমিটেড তালিকাভুক্ত হয়েছে ২০০২ সালে।   

কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার ৯২০টি শেয়ারের মধ্যে ৫ দশমিক ০৯ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে, ২ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে এবং ৯২ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে।

জিল বাংলা সুগার মিলে শেয়ারের দর ৬ দিনে বেড়েছে ৬৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।

ডিএসইর চিঠির জবাবে তারাও ফাইন ফুডসের মতোই জবাব দেয়।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯ জুলাই জিল বাংলা সুগারের শেয়ারের দাম ছিল ৩১ টাকা ৬০ পয়সা, যা ১৭ জুলাই হয় ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ ৬ কার্যদিবসে দাম বেড়েছে ২১ টাকা ৯০ পয়সা বা ৬৯ দশমিক ৩০ শতাংশ।

কোম্পানিটি ২০১৭ সাল লোকসান করেছে ৩২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, ২০১৮ সালে ৪৮ কোটি ৪৯ লাখ এবং ২০১৯ সালে ৬২ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার।  

কোম্পানিটি গত ৫ বছরে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি।

ঢাকার পুঁজিবাজারে এখন ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেনে থাকা জিল বাংলা সুগার মিল তালিকাভুক্ত হয়েছে ১৯৮৮ সালে।   

কোম্পানিটির মোট ৬০ লাখ শেয়ারের মধ্যে ৫১ শতাংশ শেয়ার আছে সরকারের হাতে, ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে এবং ৩৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে।