বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রামীণফোনের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের জন্য বিনিয়োগকারীরা ১৩ টাকা করে পাবেন।
তবে এই লভ্যাংশ নিতে হলে রেকর্ড ডেট ৫ অগাস্ট পর্যন্ত শেয়ার ধারণ করতে হবে বিনিয়োগকারীদের।
লভ্যাংশ ঘোষণার খবরের মধ্যে বুধবার দিন শেষে গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম ৩ টাকা বেড়ে দিন শেষে ২৪২ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছিল।
গ্রামীণফোনের ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে মুনাফা কমেছে।
জানুয়ারি-জুন পর্যন্ত ছয় মাসে গ্রামীণফোণের প্রতি শেয়ারে মুনাফা হয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের বছর এই সময় ছিল ১৩ টাকা ৩৭ পয়সা।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে গ্রামীণফোণের নগদ প্রবাহ অনেক কমে ৬ টাকা ১৩ পয়সায় নেমেছে, যা আগে ছিল ২০ টাকা ৯৪ পয়সা।
এ সময় গ্রামীণফোনের প্রতি শেয়ারে সম্পদ মূল্য হয়েছে ৩৭ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ২৮ টাকা ৪০ পয়সা।
গ্রামীনফোণ ২০০৯ সালে ঢাকার পুঁজিবাজারে টেলিকম খাতে তালিকাভুক্ত হয়ে এখন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেনে রয়েছে।
৩২ হাজার ২৮৬ কোটি টাকার বাজার মূলধনের কোম্পানিটি গত বছর মুনাফা করেছে ৩ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা, যা ২০১৮ সালে ছিল ৩ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা।
গ্রামীনফোণ বিনিয়োগকারীদের ২০১৮ সালে শেয়ারপ্রতি ২৮০ শতাংশ ও ২০১৯ সালে ১৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
কোম্পানির ১৩৫ কোটি ৩ লাখ ২২টি শেয়ারের মধ্যে ৯০ শতাংশ আছে উদ্যোক্তাদের হাতে, ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে, ৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ বিদেশিদের হাতে আছে এবং ২ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে আছে।