ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটের তথ্য অনযায়ী, শেয়ারটির দাম মঙ্গলবার পর্যন্ত আট কার্যদিবসে বা ৭১ শতাংশ ও এক মাসে ৯৪ শতাংশ বেড়েছে।
ক্রমাগত দাম বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্সের কাছে কারণ জানতে চায় ডিএসই। জবাবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের কাছে অপ্রকাশিত এমন কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই, যার প্রভাবে শেয়ারের দাম বাড়তে পারে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২ জুলাই প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্সের শেয়ারের দাম ছিল ৪৩ টাকা ১০ পয়সা, যা ১৪ জুলাই ছিল ৭৩ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাত্ আট কার্যদিবসে দাম বেড়েছে ৩০ টাকা ৭০ পয়সা বা ৭১ শতাংশ।
আর ১৫ জুন শেয়ারটির দাম ছিল ছিল ৩৮ টাকা ১০ পয়সা। সে হিসেবে একমাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯৪ শতাংশ।
বাস্তব কারণ ছাড়া শেয়ারের দাম বাড়লে তা স্থায়ী হয় না। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা বেশি দামে শেয়ার কিনে পরে ক্ষতিগ্রস্ত হন। শেয়ারের দর অস্বাভাবিক বাড়লে স্টক এক্সচেঞ্জ কোম্পানির কাছে তার ব্যাখ্যা চায়।
কোম্পানিটি ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে যথাক্রমে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ৩ কোটি ৫৭ লাখ, ২ কোটি ৮৪ লাখ, ৪ কোটি ১০ লাখ এবং ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা মুনাফা করেছে।
২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের ব্যবধানে কোম্পানির মুনাফার গড় প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ৩০ শতাংশ, যেখানে মুনাফায় ১০ থেকে ৩০ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী কোম্পানিকে মৌলভিত্তির কোম্পানি হিসেবে ধরা হয়।
কোম্পানিটি ২০১৭ সাল পর্যন্ত চার বছরে গড়ে ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের, যেটা ২০১৮ সালে ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
ঢাকার পুঁজিবাজারে এখন ‘বি’ ক্যাটাগরিতে লেনদেনে থাকা প্যারামাউন্ট ইন্সুরেন্স তালিকাভুক্ত হয়েছে ২০০৭ সালে।
কোম্পানিটির মোট ৩ কোটি ৩২ লাখ ২৩ হাজার ১২টি শেয়ারের মধ্যে ৪৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে, ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে এবং ৪০ দশমিক ২৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে।