ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের এমডি শহীদ কারাগারে

মহামারীর মধ্যে অফিস গুটিয়ে পালিয়ে যাওয়া ব্রোকারেজ হাউজ ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদ উল্লাহকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 July 2020, 02:44 PM
Updated : 9 July 2020, 02:44 PM

তার পক্ষে করা জমিন আবেদন নাকচ করে বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এ আদেশ দেন।

শহীদ উল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত মঙ্গলাবার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন একই বিচারক। 

জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করে বৃহস্পতিবার শহীদ উল্লাহকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদশর্ক মোহাম্মদ হোসেন।

আদালতে পাঠানো রিমান্ডফেরত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, শহীদ উল্লাহর কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। জামিন পেলে তিনি পালিয়ে যাবেন, আদালতে হাজিরা দেবেন না। তাই তাকে কারাগারে আটকে রাখা হোক।

অপরদিকে আসামির জামিন চেয়ে তার আইনজীবী বলেন, তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেননি। অফিস গুটিয়ে যাননি। কোভিড -১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর অবশ্যই তিনি ফিরে আসতেন। তিনি পালাননি।

পরে বিচারক জামিন আবেদন নাকচ করে শহীদ উল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মোতালেব হোসেন জানান।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে অফিস গুটিয়ে লাপাত্তা হওয়া শহীদ উল্লাহ ও তার স্ত্রী নিপা সুলতানা নুপুরকে সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর সীমান্ত এলাকা থেকে  গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার মিন্টো রোডের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মো. আবদুল বাতেন বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজ হাউজ ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মাধ্যমে প্রায় ২২ হাজার বিও হিসাবধারী শেয়ার কেনাবেচা করতেন।

“গ্রেপ্তাররা তাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২২ হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর অগোচরে ১৮ কোটি টাকা অন্য এক হিসাবে সরিয়েছেন। গত ২২ জুন ব্রোকারেজ হাউজ বন্ধ করে তারা পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় পল্টন থানায় তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।”

গোয়েন্দা কর্মকর্তা বাতেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজে ২২ হাজার বিও অ্যাকাউন্টধারীর প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে এবং ওই শতকোটি টাকার মধ্যে থেকে তারা ১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

“এছাড়া ৪৪-৪৫ জনের কাছ থেকে তারা মুনাফা দেওয়ার শর্তে ৩০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। ওই টাকা আত্মসাৎ করতেই তারা আত্মগোপন করেন।”