শেয়ার ধারণ: ২২ কোম্পানির ৬১ পরিচালককে ‘আল্টিমেটাম’

ন্যূনতম দুই শতাংশ শেয়ারধারণের শর্ত পূরণে ব্যর্থ ২২ কোম্পানির ৬১ পরিচালককে তা পরিপালনের জন্য ৪৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 July 2020, 10:33 AM
Updated : 6 July 2020, 10:33 AM

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ওই সব পরিচালকদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “দুই শতাংশ শেয়ারধারণের এই আইন কোম্পানিগুলোকে মেনে চলতে হবে।

“আমরা যাদের চিঠি পাঠিয়েছি, তারা যদি ৪৫ দিনের মধ্যে আদেশ পালনে ব্যর্থ হন তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনে যেভাবে আছে, সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধসের পরের বছর নভেম্বরে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের মিলিতভাবে কোম্পানির সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ বাধ্যতামূলক করা হয়। সেক্ষেত্রে স্বতন্ত্র পরিচালক ছাড়া অন্যদের প্রত্যেককে সর্বনিম্ন ২ শতাংশ শেয়ারধারণ করতে হবে।

গতবছর মে মাসে আইনে সম্পূরক সংযোজন এনে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার না থাকলে শেয়ার বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া বা উপহার হিসেবে শেয়ার হস্তান্তর এবং বোনাস শেয়ার দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়।

এককভাবে কোনো পরিচালকের ২ শতাংশ শেয়ার না থাকলে বেঁধে দেওয়া সময়ের পর তার পরিচালক পদ শূন্য হবে। এর এক মাসের মধ্যে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণকারী কেউ তা পূরণ করবে।

এই ২২ কোম্পানির অধিকাংশই বীমা খাতের। এগুলো হলো- এশিয়া ইনস্যুরেন্স, বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স, দুলামিয়া কটন, ইস্টার্ন ইনস্যুরেন্স, এক্সিম ব্যাংক, ইমাম বাটন, ইনটেক লিমিটেড, কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স, কে অ্যান্ড কিউ, মেঘনা লাইফ ইনস্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্স, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনস্যুরেন্স, প্রভাতী ইনস্যুরেন্স, ইউনাইটেড এয়ার, ফু–ওয়াং সিরামিকস, পূরবী জেনারেল ইনস্যুরেন্স, স্ট্যান্ডার্ড ইনস্যুরেন্স, ওয়াটা কেমিক্যালস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্স ও প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স।

এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, আইনটি আগে থাকলেও এর বাস্তবায়ন ছিল না। এর সঠিক ফলাফল পেতে বাস্তবায়ন জরুরি। এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থা কঠোর হলে ভাল ফল পাবে দেশের পুঁজিবাজার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক এম সাদিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ভাল প্রভাব পড়বে।

“বিশেষ করে যে কোম্পানির শেয়ারগুলো কিনতে বলা হয়েছে সে কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা বাড়বে এবং দাম বাড়বে।”