বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক একাসচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।
শেয়ার হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সারা হলেই গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশের মালিকানা ইউনিলিভারের হাতে চলে যাবে।
গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ জানিয়েছে, বর্তমান মালিক সেটফার্স্ট লিমিটেডের কাছ থেকে তারা শেয়ার বিক্রির চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে ইউনিলিভার অভারসিস হোল্ডিংস বিভি বাজার মূল্যে এই শেয়ার কিনে নেবে।
গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন ঢাকার পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৭৬ সালে।
‘এ’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানির ৮১ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার আছে বর্তমান মালিক সেটফার্স্ট লিমিটেডের হাতে। প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে এর ১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ শেয়ার।
বিদেশি বিনিয়োগকারীর হাতে আছে দশমিক ৩৭ শতাংশ শেয়ার। আর ২ দশমিক ১২ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে আছে।
কোম্পানির মোট শেয়ারের পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৪৯টি।
বাংলাদেশে জিএসকের ব্যবসার ৭০ শতাংশ ছিল কনজিউমার হেলথকেয়ার ইউনিটের, বাকি ৩০ শতাংশ ফার্মাসিউটিক্যালসের। কিন্তু লাভের প্রায় পুরোটাই আসত কনজিউমার হেলথকেয়ারের পণ্য বিক্রি করে।
এ কারণে সাড়ে চার দশক ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা চালিয়ে আসা এ কোম্পানি ২০১৮ সালের জুলাই মাসে চট্টগ্রামে তাদের ওষুধ উৎপাদন কারখানা এবং ফার্মাসিউটিক্যাল বিজনেস ইউনিটের সব কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত জানায়।
এরপর ওই বছর ৩ ডিসেম্বর গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন জানায়, বাংলাদেশে তাদের ৯৮ লাখ ৭৫ হাজার ১৪৪টি শেয়ার তারা ইউনিলিভারের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে।
আর ইউনিলিভার জানায়, বাংলাদেশে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের কনজিউমার হেলথকেয়ার ইউনিটের ব্যবসার ৮২ শতাংশ নগদ ১৬০ কোটি টাকায় কিনে নিচ্ছে তারা।
পাশাপাশি ভারতের বাজারে জিএসকের কনজিউমার হেলথকেয়ারের পুরো ব্যবসা ইউনিলিভার ৩৮ কোটি ডলারে কিনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
আগামী এক মাসের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শেষ হলে ভারত ও বাংলাদেশে হরলিকস, মালটোভার মত জনপ্রিয় হেলথ ড্রিংক, গ্ল্যাক্সোজ-ডি, সেনসোডাইনের মত পণ্যের ব্যবসা ইউনিলিভারের হাতে চলে যাবে।