গত মে মাসে প্রায় ২৯ হাজার টাকার রাজস্ব আহরণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় করা সম্ভব হয়েছে মাত্র ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা।
অর্থাৎ মে মাসের আহরণ লক্ষ্যমাত্রার ৪৬ শতাংশ।
তবে মে মাসে এপ্রিল মাসের তুলনায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এপ্রিল মাসে রাজস্ব আহরণ হয়েছিল মাত্র ৭ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা।
করোনাভাইরাস মহামারীতে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিই এখন টালমাটাল। এ কারণে সরকারের রাজস্ব আহরণ নেমে আসাটা অনুমিতই ছিল।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, অর্থবছরের ১১ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ২৫০ কোটি টাকা।
সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে এক মাসে এক লাখ ১৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে হবে।
চলতি অর্থবছরের জন্য সরকার ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
এরপর গেল মার্চ মাসে তা সংশোধন করে কমিয়ে ৩ লাখ ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু ১১ মাস পর দেখা গেল, মোট রাজস্ব আহরণ হয়েছে মাত্র সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার ৬২ দশমিক ৩১ শতাংশ।
মে মাসে আমদানি শুল্ক থেকে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ হাজার ৯০৫ কোটি টাকা। কিন্তু আদায় হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকা।
মুল্য সংযোজন কর (মুসক) থেকে মে মাসে ১০ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। আদায় হয়েছে ৬ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা।
মে মাসে আয়কর ও ভ্রমণ কর থেকে ১০ হাজার ২০৪ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় করা সম্ভব হয়েছে মাত্র ২ হাজার ৬৭৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।