বুধবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানিয়েছেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম।
বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে ডাকা এই সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পরিচালক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার মিজানুর রহমানও যোগ দিয়েছিলেন।
আসিফ ইব্রাহিম বলেন, “আমরা তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার অনুরোধ করছি। এতে ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে, যা পুঁজিবাজারকে সমৃদ্ধ করবে এবং স্বচ্ছ কর্পোরেট রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাবে।”
নতুন বাজেটে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে।
সিএসই চেয়ারম্যান বলেন, “করোনাভাইরাসের এই ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে দেশের অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা শিরোনামে যে বাজেট অর্থমন্ত্রী মহোদয় অত্যন্ত প্রজ্ঞা এবং সাহসের সাথে উপস্থাপন করেছেন তার জন্য চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ এর পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
তিনি কোনো শর্ত ছাড়া কালো টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২০-২১ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে অর্থের প্রবাহ বাড়াতে ১০ শতাংশ কর দিয়ে ‘কালো টাকা সাদা’ করার সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন। তবে সাথে শর্ত দিয়েছেন, সেই টাকা তিন বছরে পুঁজিবাজার থেকে বের করা যাবে না।
আসিফ ইব্রাহিম বলেন, “বাজেটে অর্থমন্ত্রী মহোদয় ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য ছাড় দেয়ার প্রস্তাব করেছেন, যা ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আরও উৎসাহিত করবে বলে আমরা মনে করি।”
পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে তিন বছর কর ছাড় দেয়ার কথা বলেন সিএসই চেয়ারম্যান।
“নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি সমূহের আয় তিন বছর করমুক্ত রাখা হলে অতালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহ তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে,” বলেন তিনি।
এছাড়া কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে শেয়ার বিক্রির জন্য পাঁচ বছর কর অব্যাহতি দেয়ার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
পুঁজিবাজরে লেনদেনের উপর কর দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ০১৫ শতাংশ করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনিয়োগ আগ্রহ সৃষ্টি করতে বর্তমানে মূলধনী লাভের উপর কর হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করার কথা বলেছে সিএসই।