করোনাভাইরাস মাহামারী ঠেকাতে সরকারি ছুটির সাথে সঙ্গতি রেখে ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দেশের দুই পুঁজিবাজার।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ব্রোকাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা তাই ১০ মে থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমতি লাগবে লেনদেন চালু করতে গেলে।সেজন্য যোগাযোগ করা হবে।”
“পাশাপাশি আমাদের ডিএসইর ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা এবং ব্রোকাররা ব্যাংকগুলোর সাথে সমন্বয় করতে পারবে কিনা সেটার একটা প্রাথমিক প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। আমরা আরও গভীরভাবে বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছি। সব ঠিক থাকলে, দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক না হলে আমরা ১০ তারিখ থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু করব।”
ডিএসইর আরেক পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, “যদি সরকারি বন্ধ শেষ হয়ে যায়, তাহলে ৭ মে থেকেই পুঁজিবাজার চালু হয়ে যাবে। আর যদি বন্ধ আরও বাড়ে তখন দেশের পরিস্থিতি এখন যেমন আছে তেমন থাকলে, আরও খারাপ না হলে বন্ধের মধ্যেই ১০ তারিখ থেকে লেনদেন চালু করার চেষ্টা করছি আমরা।”
এই বন্ধের মধ্যেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান লেনদেন চালুর পক্ষে মত দিয়েছিলেন।
ডিএসইর অন্য পরিচালকরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে সরকারি বন্ধের সাথে তাল মিলিয়ে পুঁজিবাজার বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।
এরপর ৫ মের পর বাজার খোলা যায় কিনা সে সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার কথা গত মঙ্গলবার বলেছিলেন মিনহাজ মান্নান ইমন।