সপ্তাহের চতুর্ধ দিন বুধবার প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৯ পয়েন্ট বা প্রায় ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ কমে ৩ হাজার ৬৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছিল।
আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৬৬ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৩ শতাংশ কমে অবস্থান করছিল ১১ হাজার ৩০৯ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে।
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ৪০৫৫ পয়েন্ট নিয়ে ডিএসইএক্স সূচক চালু হওয়ার পর ওই বছরেরই ২০ অক্টোবর সূচক নেমেছিল ছিল ৩ হাজার ৭৭১ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার বাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। এরপর বুধবার বাজার খোলার পর মোটামুটি ধারাবাহিকভাবে সূচক কমতে থাকে।
বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ২৩৫ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৫৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বাড়ে ৫০টির, কমে ২৬৪টির, ৩৮টি কোম্পানির শেয়ার দর অপরিবর্তিত ছিল।
চট্টগ্রামের বাজারে ওই সময় পর্যন্ত হাতবদল হয় ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মিজানুর রহমান
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে পুঁজিবাজারে একটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মানুষ মনে করছে অর্থনীতির খারাপ অবস্থা হতে পারে। তারা ভাবছে শেয়ারের দাম আরো কমে যাবে। ভয়ে শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নিচ্ছে।”
এ অবস্থায় বাজার সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য বাড়ানো উচিৎ বলে মত দেন তিনি।
“সরকারি বন্ড কিনে নিয়ে অর্থনীতিতে টাকার যোগান বাড়াতে হবে। তারপর ব্যাংকগুলোকে বলতে হবে শেয়ার কিনতে।”
এইমস অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনার পরিচালক ইয়াওয়ার সায়ীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশের পুঁজিবাজারে আগে থেকেই আস্থার অভাব ছিল। এর মধ্যে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের প্রভাব। পুঁজিবাজারের সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। মার্চেন্ট ব্যাংক এবং মিউচুয়্যাল ফান্ডগুলোকে ভূমিকা রাখতে হবে এই সমস্যা থেকে উত্তরণে।”