পতনের ধারায় পুঁজিবাজারের সূচক

আগের দিনের ধারাবাহিকতায় নতুন করে বড় ধসের কবলে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2020, 06:46 AM
Updated : 15 March 2020, 08:22 AM

সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার প্রথম দুই ঘণ্টার লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স হারিয়েছে সোয়া দুইশ পয়েন্টের বেশি, আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক সিএএসপিআই নেমে গেছে ছয়শ পয়েন্ট।

দুই বাজারেই অধিকাংশ শেয়ারের দাম কমেছে, লেনদেনও চলছে খরা। 

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার পর গত সপ্তাহের সোমবার বড় ধসের কবলে পড়ে পুঁজিবাজার। ওই দিন ডিএসইএক্স এক দিনেই ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ বা ২৭৯ পয়েন্ট হারিয়ে ৪ হাজার ৮ পয়েন্টে নেমে আসে।

পরের দুই দিন বাজার ঘুরে দাঁড়িয়ে ২২৫ পয়েন্টের মত বাড়লেও বৃহস্পতির ফের দরপতনে সূচক ১০১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৬ শতাংশ পড়ে যায়।

এরপর রোববার নতুন সপ্তাহের লেনদেনের শুরুতেই বাজার আবার বড় ধাক্কা খায়। ১০ মিনিটের মধ্যে ডিএসইএক্স হারিয়ে ফেলে ২০০ পয়েন্টের বেশি। পরের দশ মিনিটে সূচক সামান্য বাড়লেও তা স্থায়ী হয়নি।

বেলা সাড়ে ১২টায় ডিএসইএক্স ছিল ৩৮৯৭ পয়েন্টে, যা আগের দিনের চেয়ে ২৩২ পয়েন্ট বা ৫.৬১ শতাংশ কম।  

আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএএসপিআই তখন পর্যন্ত ৬০৯ পয়েন্ট বা ৪.৮ শতাংশ কমে ১২০৩৩ পয়েন্টে ছিল।

ওই সময় পর্যন্ত ডিএসইতে ২১৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া ৩৫১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৪২টির দরই কমেছে । বেড়েছে মাত্র ৫টির; আর অপরিবর্তিত ছিল ৪টি কোম্পানির শেয়ারের দর।  

আর সিএসইতে হাতবদল হয়েছে ১৯ কোটি ২৯ লাখ ৮৫ টাকার শেয়ার। হাতবদল হওয়া ২০৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৯৬টিরই দর কমেছে। বেড়েছে মাত্র ৯টির; আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩টির দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, “দেশের পুঁজিবাজারে এখন আস্থার অভাব রয়েছে। আবার করোনাভাইরাসের একটি বিরূপ প্রভাব পুঁজিবাজারে আসতে পারে। সব মিলিয়ে সামনে একটা খারাপ সময় আসছে। এ অবস্থায় পুঁজিবাজারে আস্থা বাড়াতে ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।”

সরকার ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার বড় সুযোগ করে দেওয়ার পরেও কেন ব্যাংকগুলো আসছে না, সেই প্রশ্ন রাখেন তিনি।

রকিবুর রহমান বলেন, “প্রধানমন্ত্রী একটা নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ এক মাস পরে আমরা যখন ব্যাংকগুলোর সাথে আলোচনায় বসলাম, এবং জানতে চাইলাম তারা বিনিয়োগ করেছে কিনা। তারা আমাদের জানালো কয়েকটি ব্যাংক বিনিয়োগ করেছে।

“তারা আমাদের কিছু সমস্যার কথা জানালেন। আমি বলতে চাই, এক মাস হয়ে যাওয়ার পরেও তারা নিজেদের মধ্যে একটি আলোচনাও করেননি। প্রধানমন্ত্রীর একটা নির্দেশ এত হালকাভাবে তারা কীভাবে নিল!”