সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২ দশমিক ৬ শতাংশ বা ১০১ দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ১২৯ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে।
ডিএসইতে ৪০৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বুধবার লেনদেনের অংক ছিল ৪২২ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
সিএসইতে ১১ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বুধবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
বাজার বিশ্লেষক বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“বেশ কিছুদিন থেকে পুঁজিবাজারে আস্থার অভাব ছিল।সেটা তো একদিনে ঠিক হয়ে যাবে না। এটা ঠিক হতে সময় লাগবে।
“আজকে (বৃহস্পতিবার) পতনের পেছনে অনাস্থা যেমন ছিল; তেমনি আবার মুনাফা উত্তলনের বিষয়টিও ছিল। সোমবারে প্রায় সাড়ে ছয় শতাংশ কমে গিয়েছিল। এর পরে দুইদিনে প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ বেড়েছে ডিএসই সূচক। মুনাফা নিতে অনেকে শেয়ার বিক্রি করেছেন। সূচক কমতে সেটাও ভুমিকা রেখেছে।”
“আজকে বাজার আর বাড়ার শক্তি ছিল না। ব্যাংকগুলো যখন বিনিয়োগ শুরু করবে তখন ভাল হবে পুঁজিবাজার,” বলেন হাফিজ।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২১ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯৫৭ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৩২ দশমিক ০২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৮১ পয়েন্টে।
লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৫১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৬টির। কমেছে ২৯৩টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টি কোম্পানির শেয়ার দর।
অন্যদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৩৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮টির, কমেছে ১৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির দর।