পতনের ধারাতেই পুঁজিবাজার

সামান্য উত্থানের পর বড় ধরনের পতনের ধারাতেই এখন দেশের দুই পুঁজিবাজার, চলছে টানা দরপতন ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2020, 10:13 AM
Updated : 1 March 2020, 10:13 AM

টানা সাত দিন পতনে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ডিএসইএক্স ৭ দশমিক ৩২ শতাংশ বা ৩৪৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪৪১০ পয়েন্ট।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক সিএএসপিআই টানা সাতদিনে ৭ দশমিক ১২ শতাংশ বা ১০৩৬ পয়েন্ট কমে হয়েছে ১৩৫১৯ পয়েন্ট।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলেও তারপর টানা দরপতনে ছোট-বড় সব বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ফের হতাশা দেখা দিয়েছে।

সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার সকাল থেকেই পতন শুরু হয় ডিএসইতে। দিন শেষে সূচক ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ বা ৭০ পয়েন্ট কমেছে। চট্টগ্রামের বাজারে ২২৪ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬২ শতাংশ কমেছে।

দুই বাজারেই কমতে শুরু করেছে লেনদেনের পরমিাণও।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রত্যেক ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা বাজারে আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছিল। সেই ঘোষণায় ডিএসইএক্স ৭০০ পয়েন্টের মতো বেড়েছিল। কিন্তু সেই টাকা এখনও বাজারে না আসায় সূচকের পতন হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষক ও ডিএসই’র পরিচালক শাকিল রিজভী বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাজারে যে টাকা ছিল, সেই শক্তি দিয়ে ৭০০ পয়েন্টের মতো বেড়েছিল। এখন টাকা নেই; যে শক্তি ছিল সেই শক্তি শেষ হয়ে গেছে। ব্যাংকগুলোর বিশেষ তহবিলের টাকা না আসলে বাজার ভালো হবে না।”

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে রোববার লেনদেন হয়েছে ৪৫৬ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১৯ শতাংশ কম। চট্টগ্রামের বাজারে লেনদেন ১৯ শতাংশ কমে হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা।

এদিন ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর কমেছে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর কমেছে ২৮৯টির, বেড়েছে ৪৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির দর। 

সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৪০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর কমেছে ১৯৮টির, বেড়েছে ২৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির দর। 

ঢাকার বাজারে লেনদেনের শীর্ষে ছিল- ভিএসএফটিডিএল, ফার কেমিক্যাল, স্কয়ার ফার্মা, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ ও কনফিডেন্স সিমেন্ট।

পতনের বাজারেও দরবৃদ্ধির শীর্ষে ছিল- কেপিপিএল, সেন্ট্রালফার্মা, সিমটেক্স, ড্যাফোডিল ও ওরিয়ন ইনফিউশন। দর হারানোর শীর্ষে ছিল- তুংহাই, অ্যারামিট সিমেন্ট, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, উসমানিয়া গ্লাস ‍ও সামিট পোর্ট।