মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৮ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৭৪০ পয়েন্ট হয়েছে।
তবে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা বেড়েছে; সারা দিনে হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ২১ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড।
সর্বশেষ ডিএসইতে হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সেদিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১০২৪ কোটি টাকা।
গত সপ্তাহে সরকার ব্যাংকগুলোকে বিশেষ তহবিল যোগানোর ঘোষণা দেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে পুঁজিবাজার। এরপর সোমবার পর্যন্ত পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইএক্স প্রায় ৪০০ পয়েন্ট বাড়ে। তিনশ কোটির ঘর থেকে লেনদেন উঠে আসে হাজার কোটি টাকায়।
ডিএসইর পরিচালক ও সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী বিডিনিউজ টোযেন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “টানা বৃদ্বির পর প্রফিট টেকিং হয়েছে। এজন্য সূচক আজ কিছুটা কমেছে। কেনা-বেচা দুটোই বেড়ে যাওয়ার কারণে লেনদেনও বেড়ে গেছে।”
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই এদিন ২৫ পয়েন্ট বা দশমিক ১৭ শতাংশ কমে ১৫ হাজার ৫০৪ পয়েন্ট হয়েছে। লেনদেন সোমবারের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়ে হয়েছে ৬৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
সিএসইতে এদিন লেনদেন হয়েছে ২৯০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির দর।
এদিকে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে- সামিট পাওয়ার, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, কেপিসিএল, ওরিয়ন ফার্মা ও ন্যাশনাল টিউবস।
দরবৃদ্ধির শীর্ষে রয়েছে- আইসিবি সোনালী ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, সিভিও পেট্রো, এমআই সিমেন্ট, ভ্যানগার্ড এএমএল, রূপালী ব্যাংক ব্যালান্সড ফান্ড ও আইসিবি তৃতীয় এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড।
ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে শ্যামপুর সুগার, সানলাইফ ইন্সুরেন্স, হাক্কানি পাল্প, সমতা লেদার ও সিলভা ফার্মাসিউটিক্যালস।