গত সপ্তাহে টানা তিন দিন পতনের পর চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিনও সূচক পড়েছে দুই বাজারে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩ দশমিক ২০ পয়েন্ট কমেছে। প্রথম দিন রোববার কমেছিল ৬৫ পয়েন্ট।
বড় ধসের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে সপ্তাহ খানেক বাজার ভালো গেলেও আবার সেই পতনের ধারাতেই ফিরে এসেছে। গত সপ্তাহে পাঁচ দিনের লেনদেনে তিন দিন সূচক পড়েছে। বেড়েছে দুই দিন। সবমিলিয়ে গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স ১৭ পয়েন্ট হারিয়েছিল।
ধসের পর ১৫ জানুয়ারি থেকে বাজারে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা যায়। বাজার ভাল করতে ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর নানা নির্দেশনার পর ১৯ জানুয়ারি সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্থান হয় ডিএসইএক্স সূচকের। বাড়ে লেনদেনও।
তার ধারাবাহিকতায় ১৯ থেকে ২৩ জানুয়ারি সপ্তাহে বাজারে তেজিভাব লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু তার পর থেকে সেই চাঙ্গাভাব আর থাকেনি।
এখন প্রতিদিনই সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমছে। ডিএসইতে লেনদেন আবার সেই তিনশ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে।
সোমবার ডিএসইতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩ দশমিক ২০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৩৮৫ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৬ দশমিক ২৭ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক শূণ্য দশমিক ৮৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৯১ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে।
লেনদেন হয়েছে ৩৪০ কোটি ৯০ লাখ টাকা। রোববার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৬২ কোটি টাকা।
লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৫৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪টির।কমেছে ১৬৬টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টি কোম্পানির শেয়ার দর।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সোমবার প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৩০ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৩৮১ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে।
১৭ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। রোববার লেনদেনের অংক ছিল ১৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
লেনদেন হয়েছে ২৪০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১২৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির দর।