আস্থা ফিরছে পুঁজিবাজারে

লেনদেন-সূচক বেড়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে। বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2020, 11:09 AM
Updated : 3 Feb 2020, 11:09 AM

ঢাকায় পাঁচশ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।  বড় ধসের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপে বাজারে আস্থা ফিরতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বাজার বিশ্লেষক শাকিল রিজভী।

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৫০৬ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে।

৫০৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। রোববার লেনদেনের অংক ছিল ৪৬৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) রোববার প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৬৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৭১১ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে।

২৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। রোববার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

বড় ধসের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে সপ্তাহ খানেক বাজার খুব ভালো গেলেও পরে আর সেই তেজিভাব ছিল না।

গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স ৪৪ পয়েন্ট কমেছিল। তার আগের সপ্তাহে বেড়েছিল ৩৬৪ পয়েন্ট।

ধসের পর ১৫ জানুয়ারি থেকে বাজারে ইতিবাচক ধারা লক্ষ্য করা যায়। বাজার ভাল করতে ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর নানা নির্দেশনার পর ১৯ জানুয়ারি সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্থান হয় ডিএসইএক্স সূচকের। বাড়ে লেনদেনও।

তার ধারাবাহিকতায় ১৯ থেকে ২৩ জানুয়ারি বাজারে তেজিভাব লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু গত সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ জানুয়ারি) সেই চাঙ্গাভাব আর থাকেনি।

চলতি সপ্তাহ অবশ্য ইতিবাচক ধারায় শুরু হয়েছে। প্রথম দিন রোববার ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট বেড়েছে। সিএএসপিআই বেড়েছিল ৬৫ পয়েন্ট।সোমবারও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে।

ডিএসই’র সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। রোববার অর্থমন্ত্রী কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে।

“বাজার অনেক পড়ে গিয়েছিল। অনেক শেয়ারের দাম একেবারে তলানীতে নেমে এসেছিল। এই দামে শেয়ার কিনলে লাভের সম্ভাবনাই বেশি থাকে। সে হিসাবে নিজস্ব শক্তিতেই বাজার ঘুরে তাঁড়ানোর কথা। এরসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরতে শুরু করেছে।”

সোমবার ডিএসইর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৮ দশমিক ০৩ পয়েন্ট বেড়ে  অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৪ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ১১ দশমিক ১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৫৩৬ পয়েন্টে।

লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৫৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৬টির।কমেছে ১১৭টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টি কোম্পানির শেয়ার দর।

অন্যদিকে সিএসইতে হাতবদল হয়েছে ২৪৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৮টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির দর।