পুঁজিবাজার: একদিন বেড়েই সেই পতন

টানা দরপতনের পর একদিন একটু আশার আলো জাগিয়ে ফের সেই পতনের ধারায় ফিরেছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2020, 12:16 PM
Updated : 13 Jan 2020, 12:18 PM

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার বড় পতন হয়েছে দুই বাজারে ।

প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮৯ দশমিক পয়েন্ট বা ২ দশমিক ১১ শতাংশ কমে ৪ হাজার ১২৩ পয়েন্টে নেমে এসেছে।

এই সূচক সাড়ে চার বছরের (৫৫ মাস) মধ্যে কম।এর আগে এর চেয়ে কম সূচক ছিল ২০১৫ সালের ৭ মে। সেদিন সূচক ছিল ৪ হাজার ১২২।

গত সপ্তাহের পাঁচ দিনই সূচক পড়েছিল। ওই পাঁচ দিনে ডিএসইএক্স ২৬২ পয়েন্ট কমে। সূচক ৪ হাজার ৪৫৯ থেকে কমে হয় ৪ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে নেমে এসেছিল। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার ১৫ পয়েন্ট বেড়েছিল।

বাজারের এই খারাপ পরিস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি পরিচালক মোহাম্মদ এ হাফিজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুঁজিবাজারে অনেক দিন ধরেই আস্থার সংকট চলছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে। এই ‍মুহুর্তে পুঁজিবাজারেকে তুলে ধরতে হলে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর সেজন্য তারল্য দরকার। ”

আরেক বাজার বিশ্লেষক শার্প সিকিউরিটিজের পরিচালক গোলাম ওয়াদুদ বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ দিয়ে বলেন,“বাজারে অনেক ভাল শেয়ার এখন অযৌক্তিক কম দামে লেনদেন হচ্ছে। সে সব শেয়ার হাতে থাকলে বিক্রি না করাই ভাল।”

“পুঁজিবাজার সাপোর্ট পাচ্ছে না তাই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। বাজার তারল্য সংকট কাটাতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের যে দাবি উঠেছে সেটার ব্যবস্থা দ্রুত করতে হবে।””

বাজার পরিস্থিতি

সোমবার ডিএসইতে ২৮৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। রোববার লেনদেনের অংক ছিল ২৬০ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সোমবার প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৩৮ দশমিক ৭০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২ হাজার ৫৭০ দশমিক ০৯ পয়েন্টে।

১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। রোববার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

সোমবার ডিএসইতে অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২০ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯২৯ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ২৭ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৮৭ পয়েন্টে।

লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৫৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২১টির, কমেছে ৩১৩টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি কোম্পানির শেয়ার দর।

অন্যদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৫২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৮টির, কমেছে ২০৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির দর।