বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই সপ্তাহে প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬২ পয়েন্ট হারিয়েছে।
সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স সূচক ৩১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ১৯৭ পয়েন্টে; যা গত ৩ বছর ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০১৬ সালের ২মে এই সূচকের অবস্থান ছিল ৪ হাজার ১৭১ পয়েন্টে।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯৪৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪০৬ পয়েন্টে।
বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩০১ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বুধবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২৭৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
অন্য দিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১২ হাজার ৭৭৬ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার।
লেনদেন হয়েছে ২৪০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৭টির, কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির দর।
২০১৯ সালের মন্দাভাবেই ২০২০ সাল শুরু হয়েছে। ছোট-বড় সব বিনিয়োগকারী হতাশ-ক্ষুব্দ। অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের বৈঠকেও কাজ হচ্ছে না। বাজার পড়ছেই।
নতুন বছরে সাত দিন লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দুই দিন সূচক সামান্য বেড়েছে।
২০১০ সালে বড় ধসের পর পুঁজিবাজারে সবচেয়ে ‘খারাপ’ অবস্থা গেছে ২০১৯ সাল। ওই ধসের পর ২০১৬ সালের শেষ দিকে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে থাকে। ২০১৭ সালটা ভাল গিয়েছিল।
কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে আবার পতন শুরু হয় পুঁজিবাজারে। ২০১৯ সালে সেই পতনের পর পতনে বাজার একেবারে তলানীতে নেমে যায়।
নতুন বছরেও সেই মন্দার কবল থেকে বের হতে পারছে না বাজার।