লেনদেন শুরু হলেই পড়ছে মূল্যসূচক। ছোট-বড় সব বিনিয়োগকারী হতাশ-ক্ষুব্দ। অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের বৈঠকেও কাজ হচ্ছে না। হয়নি, সপ্তাহের শুরুতেই বড় দরপতন হয়েছে পুঁজিবাজারে।করলো বাংলাদেশের পুঁজিবাজার।
নতুন বছরে চার দিন লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দুই দিনে (বুধ ও বৃহস্পতিবার) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স মাত্র ৬ পয়েন্টের মতো বেড়েছে। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে (রোব ও সোমবার) এই সূচক ১২৭ পয়েন্ট কমেছে।
২০১০ সালে বড় ধসের পর পুঁজিবাজারে সবচেয়ে ‘খারাপ’ অবস্থা গেছে ২০১৯ সাল। ওই ধসের পর ২০১৬ সালের শেষ দিকে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে থাকে। ২০১৭ সালটা ভাল গিয়েছিল বাজার।
কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে আবার পতন শুরু হয় পুঁজিবাজারে। ২০১৯ সালে সেই পতনের পর পতনে বাজার একেবারে তলানীতে নেমে যায়। ডিএসইএক্স সূচক ফিরে গেছে ৪৩ মাসের আগের অবস্থানে ।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪৮ দশমিক ০২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ২৩৩ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে।
সোমবার ঢাকায় ৩৭৫ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। রোববার লেনদেনের অংক ছিল ২৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৫৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৩টির, কমেছে ২৫৩টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টি কোম্পানির শেয়ার দর।
ঢাকায় অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১২ দশমিক ২৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯৮৩ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ২৮ দশমিক ৪১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৫১ পয়েন্টে।
সোমবার সিএসইতে ১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। রোববার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
লেনদেন হয়েছে ২৪০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫০টির, কমেছে ১৬৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭ টির দর।