বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের খারাপ অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “পুঁজিবাজারের মূল ভিত্তি হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। দেশের অর্থনীতি যতো শক্তিশালী হবে পুঁজিবাজার ততো শক্তিশালী হতে বাধ্য। কিন্তু আমাদের এখানে সেটা ঘটে না, কেন হয় না সময় আসলে হয়ত বলা যাবে।”
“কেউ ইচ্ছাকৃত করে কিনা…এটা তো একটা রিফ্লেকশন। ভারতও বলছে আমরা অনেক এগিয়েছি। ভিয়েতনামের গ্রোথ আমাদের চেয়ে বেশী না, যারা ট্রেড করে তাদের সাথে মিলে মিলে যদি বুঝানো যায় তাহলে একাজ করবে না।”
২০১০ সালে বড় ধসের পর পুঁজিবাজারে সবচেয়ে ‘খারাপ’ অবস্থা গেছে ২০১৯ সাল। ঔ ধসের পর ২০১৬ সালের শেষ দিকে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে থাকে। ২০১৭ সালটা ভাল গিয়েছিল বাজার।
কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে আবার পতন শুরু হয় পুঁজিবাজারে। ২০১৯ সালে সেই পতনের পর পতনে বাজার একেবারে তলানীতে নেমে যায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সূচক ফিরে গেছে সাড়ে তিন বছরের আগের অবস্থানে ।
২০১০ সালে ৪ হাজার ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে শুরু হওয়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান ডিএসইএক্স বাড়তে বাড়তে ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্টে উঠে।
এরপর সেটা পড়তে পড়তে প্রায় ২ হাজার পয়েন্ট হারিয়ে বিদায়ী বছরের শেষ দিন ৪ হাজার ৪৫২ পয়েন্টে নেমে এসে লেনদেন শেষ হয়।
পুঁজিবাজারে এই দরপতন নিয়ে প্রশ্ন করলে অর্থমন্ত্রী বলেন,“শেয়ার বাজারের প্রথম ঘন্টায় বাড়ে, তখন যারা ইনভেস্ট করেছে তারা পায়, দ্বিতীয় ঘন্টায় আবার দাম কমে যায়,দ্বিতীয় ঘন্টায় কমার পর যেটা স্থিতি হয় এটাকে বলা হয় সেই দিনের স্থিতি বা এটা কমে গেছে। যে জিতে আর কে হারলো নিজের মনকে প্রশ্ন করো।”
“সরকারের যে দায়িত্ব সেখানে গুড গর্ভনেন্স থাকতে হবে, যারা অপরাধ করবে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে; সেখানে এজন্য রেগুলেটর আছে।“
‘সব দিকেই ভালো, শুধু এক জায়গায়’
অর্থমন্ত্রী বলেন,“বিদেশে এক হাজার ইনডেস্ক থেকে শূণ্যতে আসলে এসইসি চেয়ারম্যানকে গালিও দেবে না মারতেও যাবে না। রাস্তায় গাড়িও ভাঙ্গবে না। আমি জানি না কেন, সব দিকেই ভাল শুধু এক জায়গায় বর্হিবিশ্বের সাথে মিল নাই।”
“আমাকে দেখতে হবে ব্যাংকগুলো ম্যানুপুলেট করে কিনা; যে শেয়ারগুলো বাজারে আসে ম্যানুপুলেট করে কিনা। প্রফিট হওয়ার পরও প্রফিট ঘোষণা না দিয়ে ডিভিডেন্ট পকেটে নেয় কিনা। আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালী হলে এর প্রতিফলন পুঁজিবাজারে আসতে বাধ্য; আজ না হলে আগামীকাল আসতে হবেই।”
“আগে যেভাব শেয়ারকে প্রাইসিং করা হত সেভাবে এখন হয় না। এখন রেগুলেটর ও অপারেটররা সব সময় আলাপ-আলোচনা করে; যেখানে নীতি নির্দেশনার অভাব থাকে বা নির্দেশনা আরও শক্তিশালী করা দরকার সেগুলো টেক কেয়ার থাকলে মনে হয় ভাল থাকবে” বলেন অর্থমন্ত্রী।