নতুন বছরের প্রথম দিন বুধবার ঢাকায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এবং শরীয়াহ সূচক তেমন হেরফের না হলেও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্য থেকে সবচেয়ে ভালো মানের বাছাই করা ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচকটি প্রায় ১২ পয়েন্ট পড়ে গেছে।
চট্টগ্রামে প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪ পয়েন্ট বাড়লেও লেনদেন হয়েছে মাত্র ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ঢাকায়ও লেনদেন কমেছে।
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সবচেয়ে ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেও দিশেহারা অবস্থা বিনিয়োগকারীদের। কারণ, টানা দরপতনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এসব কোম্পানির শেয়ারের দামও কমেছে বেশি। এ কারণে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্য থেকে সবচেয়ে ভালো মানের বাছাই করা ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচকটি প্রায় অর্ধযুগ আগের অবস্থানে ফিরে গেছে।
৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ‘ব্যাংক হলিডে’র কারণে ব্যাংকগুলোর পাশপাশি পুঁজিবাজারেও লেনদেন বন্ধ থাকে। সে কারণে ৩০ ডিসেম্বর সোমবার ছিল ২০১৯ সালের শেষ লেনদেন। ঔ দিন দুই বাজারেই মূল্যসূচক সামান্য বেড়েছিল।
২০১০ সালে বড় ধসের পর পুঁজিবাজারে সবচেয়ে ‘খারাপ’ অবস্থা গেছে ২০১৯ সাল। ওই ধসের পর ২০১৬ সালের শেষ দিকে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে থাকে। ২০১৭ সালটা ভাল গিয়েছিল বাজার।
কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে আবার পতন শুরু হয় পুঁজিবাজারে। ২০১৯ সালে সেই পতনের পর পতনে বাজার একেবারে তলানীতে নেমে যায়। ডিএসইএক্স সূচক ফিরে গেছে সাড়ে তিন বছরের আগের অবস্থানে ।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১০ সালে ৪ হাজার ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে শুরু হওয়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান ডিএসইএক্স বাড়তে বাড়তে ২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর ৬ হাজার ৩৩৬ পয়েন্টে উঠে।
এরপর সেটা পড়তে পড়তে প্রায় ২ হাজার পয়েন্ট হারিয়ে বছরের শেষ দিন ৪ হাজার ৪৫২ পয়েন্টে নেমে এসে লেনদেন শেষ হয়।
নতুন বছরের প্রথম দিন
২০২০ সালের প্রথম দিন বুধবার উর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ে শুরু হয় লেনদেন। আধা ঘন্টায় ডিএসইএক্স প্রায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৪৭৭ পয়েন্টে উঠে যায়। কিন্তু এর পর পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৪৫৩ দশমিক ২৯ পয়েন্টে এসে লেনদেন শেষ হয়।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক প্রায় ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩ পয়েন্টে।তবে ডিএস৩০ সূচক প্রায় ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০১ পয়েন্টে।
সোমবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩১৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
ডিএসইতে ৩৫৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২২১টির, কমেছে ৮৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৫১৯ পয়েন্টে।
লেনদেন হেয়েছে ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সোমবার লেনদেনের অংক ছিল ১৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।