চালু হল ডিএসই’র নতুন সূচক সিডিএসইটি

বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আরেকটি নতুন সূচক চালু করেছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Dec 2019, 09:25 AM
Updated : 26 Dec 2019, 04:47 PM

সূচকটির নাম দেওয়া হয়েছে সিএনআই-ডিএসই সিলেক্ট ইনডেক্স-সিডিএসইটি।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত বিনিয়োগকারী শেনচেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কারিগরি সহায়তায় বৃহস্পতিবার চালু হয়েছে সূচকটি।

নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে সূচকটি ডিএসইর ওয়েবসাইটের হোমপেইজে দেখা যাবে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে বাছাই করা শেয়ার নিয়ে এই সূচকটি তৈরি করা হয়েছে।

নতুনিএ সূচক তৈরি ও উন্নয়নের কাজ করেছে শেনচেন সিকিউরিটিজ ইনফরমেশন কোম্পানি লিমিটেড।     

২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের শেয়ারের দামকে ভিত্তিমূল্য ধরে এই সূচক গণনা শুরু হচ্ছে। সূচকটির ভিত্তি হবে ১০০০ পয়েন্ট।    

এ প্রসঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমেকে বলেন ,“নতুন সূচক গণনা শুরু হয়েছে। দুই-তিন দিন লেনদেন হলে সূচকটি বোঝা যাবে। তখন এটি প্রকাশ করা হবে।”

”এই সূচকটি নকশা করেছে চীনারা। আমাদের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো থেকে তাদের বিবেচনায় বাছাই করা শেয়ার নিয়ে এই সূচকটি তৈরি করা হয়েছে।

“এর ফলে চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সহজ হবে। তাদের আর বেশি খোঁজা লাগবে না। এই সূচকে যে কোম্পানিগুলো আছে সেগুলো তারা খেয়াল রাখবে।”

বর্তমানে গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মা, বিএটিবিসির মতো বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারদরে উত্থান-পতন হলে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্সে বড় ধরনের প্রভাব পড়ে।

নতুন সূচকটি চালু হলে বড়, মাঝারি ও স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলো আলাদা ক্যাটাগরিতে থাকবে। ফলে সূচকে এককভাবে হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানির প্রভাব কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে ডিএসইতে তিন ধরনের সূচক চালু আছে। সেগুলো হচ্ছে, ডিএসইএক্স, ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক এবং ডিএস৩০ সূচক।

এদিকে ডিএসইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ডিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারী, শেনচেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের সমন্বয়ে চীনের কনসোর্টিয়ামের ব্যসায়িক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ডিএসইতে আকারভিত্তিক তিনটি (বৃহৎ, মধ্যম ও স্বল্প মূলধনী কোম্পানির সমন্বয়ে) নতুন সূচক চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

শেনচেন স্টক এক্সচেঞ্জের সাবসিডিয়ারি কোম্পানি শেনচেন সিকিউরিটিজ ইনফরমেশন কোম্পানি ও ডিএসই যৌথভাবে এই সূচকটির ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের কাজ করেছে।

বিনিয়োগকারীরা যাতে বৃহৎ, মধ্যম ও স্বল্প মূলধনী কোম্পানিগুলোর মূল্যের হ্রাস বৃদ্ধি এক নজরে বুঝতে পারেন সেজন্য এই সূচক চালু করা হযেছে।

“এছাড়াও এর ফলে ডিএসইর সূচকের বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিং হবে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আরও বেশি আগ্রহী হবে।”

সোমবার উদ্বোধন

ডিএসইর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩০ ডিসেম্বর সোমবার বৃহৎ বাজার মূলধনের কোম্পানিগুলোকে নিয়ে সিএনআই-ডিএসই সিলেক্ট ইনডেক্স (সিডিএসইটি) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।

ডিএসইর শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে সূচকটি উদ্বোধন করবেন ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাশেম। এছাড়াও কৌশলগত বিনিয়োগকারীর মনোনীত পরিচালক শিয়ে ওয়েনহাই এবং শেনচেন সিকিউরিটিজ ইনফরমেশন কোম্পানির জেনারেল ভাইস ম্যানেজার শিং জিং পিং উপস্থিত থাকবেন।

১ জানুয়ারি থেকে সূচকটি আনুষ্ঠানিকভাব  ডিএসইর ওয়েবসাইটে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। এই সূচকটিতে কোম্পানি অন্তর্ভূক্তির ক্ষেত্রে বাজার মূলধন (শীর্ষ স্থানীয়), মৌলভিত্তি (মুনাফা) এবং তারল্য (লেনদেন, ট্রেডিং ডে) ইত্যাদি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।

সূচকটিতে বর্তমানে ৪০টি কোম্পানি রয়েছে। সূচকটির ভিত্তি তারিক ধরা হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ এবং ভিত্তি ভ্যালু হচ্ছে ১০০০ পয়েন্ট। সূচকটি অর্ধ বার্ষিকী অর্থাৎ প্রতি ৬ মাসে পূর্নমূল্যায়ন করা হবে।