বুধবার শীর্ষ সাত ব্রোকারেজ হাউজের পক্ষ থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের কাছে প্রস্তাবটি জমা দেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি ইবিএল ইনভেস্টমেন্টের পরিচালক সাইদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন,“ আমরা এর আগে গত ২৩ অক্টোবর ১০ হাজার কোটি টাকা পুঁজিবাজারের উন্নয়নে চেয়েছিলাম। ২০ নভেম্বর আমাদের সাথে সচিব মহোদয়ের আলোচনা হয়। তিনি আমাদের বলেছিলেন বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত লিখে দিতে। আজকে আমরা সেভাবে লিখে দিয়েছি।”
‘এই তহবিল’ পাওয়া গেলে পুঁজিবাজারের লেনদেন বর্তমানের চারশ’ কোটি টাকা থেকে ১ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব মনে করছেন ছায়েদুর রহমান।
“ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বেধে দেওয়া সীমার মধ্যে রাখতে হয়। সে জন্য ব্যাংকগুলো বাজারে বিনিয়োগ করতে পারে না। তাই আমরা চেয়েছি ব্যাংকের বাইরে থেকে এই টাকা পুঁজিবাজারে ঢুকবে। বাজারটা ভাল হবে।”
‘একটা ক্রাইটেরিয়া ঠিক করে দেবে সরকার। সে শর্তগুলো পূরণ করেই মার্চেন্ট ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজ এই টাকা নিতে পারবে’ জানিয়ে সাইদুর বলেন, “আমরা এই টাকা অনুদান হিসেবে চাচ্ছি না। ৩ শতাংশ সুদে ৬ বছরের জন্য চাচ্ছি। প্রথম বছর আমরা কোন টাকা দিব না। দ্বিতীয় বছর আমরা সুদ দেব। পরের চার বছরে আমরা সুদসহ আসল টাকা ফেরত দেব।”
গত ২০ নভেম্বর পুঁজিবাজারের দীর্ঘদিনের মন্দা কাটাতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান এবং সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের শীর্ষ সাত ব্রোকারেজ হাউজের কর্তারা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে মন্দা কাটাতে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করার প্রস্তাব করেছিলেন ব্রোকাররা।
সে সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বিস্তারিত ও লিখিত প্রস্তাবনা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বৈঠকের ঔ সিদ্ধান্তের আলোকেই বুধবার প্রস্তাবনাটি জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান সাইদুর রহমান।