পিজিসিবি ২৫২ কোটি টাকা মূলধন বাড়াতে পারবে

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ২৫২ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে পারবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Nov 2019, 05:44 PM
Updated : 27 Nov 2019, 05:44 PM

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসি ২৫ কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার টি শেয়ার ইস্যুর মাধমে এই মূলধন বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে।

বুধবার সংস্থার চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে কমিশনের ৭০৮তম সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পঁজিবাজারের তালিকাভূক্ত বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি পিজিসিবি’র ২৫ কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার টি সাধারণ শেয়ার কোম্পানির বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডার বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডকে (বিপিডিবি) ইস্যুর মাধ্যমে ২৫১ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির প্রস্তাব কমিশনের সভায় অনুমোদন করা হয়েছে।

এই সাধারণ শেয়ার উক্ত কোম্পানিতে বিপিডিবি’র বিদ্যমান বিনিয়োগের বিপরীতে ভেন্ডরস অ্যাগ্রিমেন্টের মাধ্যমে নগদ ব্যতীত অন্য প্রতিদানের বিপরীতে ইস্যুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড কোম্পানিটির সাথে স্বাক্ষরিত পঞ্চম ভেন্ডরস অ্যাগ্রিমেন্ট এবং ৬ষ্ঠ ভেন্ডরস অ্যাগ্রিমেন্টের মাধ্যমে ২০০২ ও ২০০৭ সালে যথাক্রমে ১৭ কোটি ১৭ লাখ  ৪০ হাজার টাকা ও ২৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকার (মোট ২৫১ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার টাকা) সমপরিমাণ বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি বিপিডিবি থেকে পিজিসিবিতে হস্তান্তর করে।

যা কোম্পানিটি এখন শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মূলধনে রূপান্তরিত করবে।

২৫ কোটি ১৮ লাখ ১৪ হাজার টি শেয়ার স্ট্রাটেজিক বিনিয়োগ হিসেবে লক-ইন অবস্থায় থাকবে যা কমিশনের পূর্বানুমোদন ছাড়া বিক্রয় বা হস্তান্তর করা যাবে না।

সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০১৯ এর খসড়া অনুমোদন

সভায় সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০১৯ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।

সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর সংশোধন পূর্বক প্রস্তাবিত সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ রুলস, ২০১৯ শিরোনামে প্রস্তুতকৃত খসড়া কতিপয় সংশোধন সাপেক্ষে কমিশন অনুমোদন করেছে।

যা জনমত জরিপের জন্য শিগগিরই দৈনিক পত্রিকা ও বিএসইসির ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

ইসলামী ব্যাংকের বন্ড অনুমোদন

এছাড়া সভায় ইসলামী ব্যাংকের ৬০০ কোটি টাকার মুদারাবা রিডিমেবল নন-কনভার্টেবল সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড অনুমোদন করা হয়েছে।

এই বন্ডের মেয়াদ হবে ৭ বছর। এর বৈশিষ্ট হচ্ছে- নন-কনভার্টেবল, ফুললি রিডিমেবল, ফ্লোটিং রেট, আনসিকিউরিড, আনলিস্টেডে সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড। অর্থাৎ মেয়াদ শেষে বা ৭ বছর পর বন্ডটির পূর্ণ অবসায়ন হবে।

বন্ডের বিপরীতে কোনো জামানত থাকবে না। বন্ডটি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হবে না। এই বন্ড বিভিন্ন আর্থিক  প্রতিষ্ঠান, বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট প্রতিষ্ঠান এবং উচ্চ সম্পদধারী ব্যাক্তিকে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

কোম্পানিটি বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে টিয়ার-২ মূলধন শক্তিশালী করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের মূল্য ১ লাখ টাকা। বন্ডটির ট্রাস্টি ও লিড অ্যারেঞ্জার হিসাবে কাজ করছে যথাক্রমে গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।