মূল্যসূচকের সঙ্গে লেনদেনও কমেছে। কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর।
সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭ পয়েন্টের মতো কমেছে। চট্টগ্রামে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৮৯ পয়েন্টের বেশি।
এ নিয়ে টানা তিন দিন সূচক পড়ল বাজারে। এই তিন দিনে ডিএসইএক্স কমেছে ৭২ পয়েন্ট।
দীর্ঘদিন পর গত সপ্তাহ একটা ‘স্বস্তির’ সপ্তাহ পার করার পর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরতে শুরু করেছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহে ফের দরপতনের ধারায় ফিরে এসেছে।
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রোববার সরকারি ছুটি থাকায় সোমবার হয় সপ্তাহের প্রথম লেনদেন। ঔ দিন প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বাড়লেও লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে আসে।
মঙ্গলবার এই সূচক ২ দশমিক ২৮ পয়েন্ট কমে। আর বুধবার পড়েছে ৪২ পয়েন্ট।
“এ কারণে সেই শেয়ারগুলোর দাম একটা সমন্বয় হচ্ছে এবং বাজারে সূচকও কমছে।”
বাজার পরিস্থিতি
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭১০ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে।
বৃহস্পতিবার প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩১৯ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৩৮৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৪৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩২টির, কমেছে ১৫৪টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৯টির দর।
ডিএসইএক্স বা প্রধান সূচক ২৬ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৭১০ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৬ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৮০ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৬৩৮ পয়েন্টে।
অন্যদিকে চট্টগ্র্ম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৮৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৩২৭ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে।
১১০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বুধবার সিএসইতে লেনদেন ছিল ১২ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
লেনদেন হয়েছে ২৪০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮০টির, কমেছে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির দর।