বড় পতনে সপ্তাহ শেষ

বড় দরপতনে আরেকটি সপ্তাহ পার করল বাংলাদেশের পুঁজিবাজার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2019, 11:29 AM
Updated : 10 Oct 2019, 11:29 AM

সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার দুই বাজারেই মূল্যসূচক কমেছে। ঢাকায় প্রধান সূচক ডিএসেএক্স কমেছে ৫২ পয়েন্ট। শতাংশ হিসেবে যা ১ দশমিক ০৭ শতাংশ। এই বাজারে অন্য দুই সূচকও ১ শতাংশ করে কমেছে।

চট্টগ্রামে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৪৯ পয়েন্ট।এই সূচকও শতাংশ হিসেবে ১ শতাংশ কমেছে।

চলতি সপ্তাহের পাঁচ দিনের চার দিনই দুই বাজারে সূচক পড়েছে। এই সপ্তাহে ডিএসইএক্স প্রায় ১৩০ পয়েন্ট হারিয়েছে।

বাজার বিশ্লেষক ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী বলেছেন, মূলত তিনটি কারণে পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতন হচ্ছে। কারণ তিনটি হচ্ছে, তারল্য সংকট, আর্থিক খাতের খারাপ অবস্থা এবং গ্রামীণ ফোনের সমস্যার সমাধান না হওয়া।

তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে যে তারল্য সংকট আছে সেটা রয়ে গেছে। ব্যাংকের সুদের হার এখনও বেশি। এটার নেতিবাচক প্রভাব পুঁজিবাজারে আছে।

“বাংলাদেশের আর্থিক খাতের অবস্থা বেশ কিছুদিন ধরে খারাপ। পুঁজিবাজারের প্রায় ৪০ শতাংশ হচ্ছে এই আর্থিক খাত। ব্যাংক-লিজিং সবগুলোর শেয়ারের দাম কমছে। ফলে সূচক কমেছে।”

“গ্রামীন ফোন পুঁজিবাজারের প্রায় ১০ শতাংশর মত। এটার সাথে কর নিয়ে যে একটি সমস্যা সেটার সমাধান হয়নি। এটার বর্তমানে যে দাম সেটা থাকার কথা না। সেটাও বড় প্রভাব ফেলছে বাজারে।”

শাকিল রিজভী মনে করেন, বাজারে এখন আস্থার সংকটই সবচেয়ে বড় সমস্যা। আর এই তিন সমস্যা দূর না হলে বাজারে আস্থা ফিরবে না। বাজার স্বাভাবিক হবে না।

বাজার পরিস্থিতি

বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স  ৫২ দশমিক ০৩ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮১০ দশমিক ২১ পয়েন্টে নেমে এসেছে।

ডিএসই’র অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১২ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১১১ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ২০ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭০৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ১৪৮ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৬৫৫ দশমিক ৪১ পয়েন্টে।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় ৩২৭ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। বুধবার এই বাজারে ৩২০ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার সিএসইতে ১২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বুধবার লেনদেনের অংক ছিল ১৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৫৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৯টির, কমেছে ২৭১টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দর।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৩৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪টির, কমেছে ১৮৩টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির দর।