এলআর গ্লোবালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: রিয়াজ

সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের (এলআর গ্লোবাল) বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেছেন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজ ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2019, 03:48 PM
Updated : 26 Sept 2019, 01:05 PM

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ব্যবসা থেকে সরাতে তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করছে একটি গোষ্ঠী।

রিয়াজ ইসলাম বলেন, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা, ১৯৯৫ ভেঙ্গে ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দামে কারসাজি করেছে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা।

গুলশানে এলআর গ্লোবাল অফিসে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

রিয়াজ ইসলাম

রিয়াজ ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে কারসাজির তথ্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসিকে জানানো হয়েছে।

“আমার প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা থেকে সরাতে আমার প্রতিদ্বন্দ্বীরা একত্রিত হয়ে পরিকল্পনা করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে প্রতিদ্বন্দ্বীরা আমার পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডের দাম নিয়ে কারসাজি করেছেন।”

‘এই কারসাজি’ করতে গিয়ে তারা দেশের সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ বিধিমালা ভেঙ্গেছেন এবং সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অর্ডিনেন্স ১৯৬৯ এর ১৭ ধারা ভেঙ্গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।   

“আমি আশা করব, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিষয়টি নিয়ে দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”

এলআর গ্লোবালের এমডি বলেন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দাম নিয়ে কারসাজি করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,”তিনি (এলআর গ্লোবাল ব্যবস্থাপনা পরিচালক) আমাদের কয়েক জনের বিষয়ে এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। আমরা কাল (বুধবার) এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানাবো।”

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডে বড় ধরনের কারসাজির সন্দেহ থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থায় অভিযোগ জমা পড়েছে।

একটি গোষ্ঠী হঠাৎ করেই এই ফান্ডটির বিপুল পরিমাণ ইউনিট কিনে বাজারে চাহিদা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে কারসাজি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবালের এমডি রিয়াজ ইসলাম।

তার আশঙ্কা, এই গোষ্ঠী ফান্ডটির এতটাই ইউনিট সংগ্রহ করেছে যে, তারা চাইলে নিজেরাই এই মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যেতে পারে।