মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ব্যবসা থেকে সরাতে তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করছে একটি গোষ্ঠী।
রিয়াজ ইসলাম বলেন, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ) বিধিমালা, ১৯৯৫ ভেঙ্গে ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দামে কারসাজি করেছে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা।
গুলশানে এলআর গ্লোবাল অফিসে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
“আমার প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসা থেকে সরাতে আমার প্রতিদ্বন্দ্বীরা একত্রিত হয়ে পরিকল্পনা করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে প্রতিদ্বন্দ্বীরা আমার পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডের দাম নিয়ে কারসাজি করেছেন।”
‘এই কারসাজি’ করতে গিয়ে তারা দেশের সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ বিধিমালা ভেঙ্গেছেন এবং সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অর্ডিনেন্স ১৯৬৯ এর ১৭ ধারা ভেঙ্গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
“আমি আশা করব, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিষয়টি নিয়ে দ্রুত তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”
এলআর গ্লোবালের এমডি বলেন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দাম নিয়ে কারসাজি করেছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডে বড় ধরনের কারসাজির সন্দেহ থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থায় অভিযোগ জমা পড়েছে।
একটি গোষ্ঠী হঠাৎ করেই এই ফান্ডটির বিপুল পরিমাণ ইউনিট কিনে বাজারে চাহিদা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে কারসাজি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এলআর গ্লোবালের এমডি রিয়াজ ইসলাম।
তার আশঙ্কা, এই গোষ্ঠী ফান্ডটির এতটাই ইউনিট সংগ্রহ করেছে যে, তারা চাইলে নিজেরাই এই মিউচুয়াল ফান্ডের দাম বাড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যেতে পারে।