দরপতন পুঁজিবাজারে, ডিএসইএক্স ফের ৫০০০ পয়েন্টের নিচে

দুই দিন চাঙ্গাভাবে থাকার পর ফের দরপতন হয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2019, 12:00 PM
Updated : 24 Sept 2019, 12:01 PM

ঢাকায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আবার ৫০০০ পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছে। লেনদেনের পাশাপাশি বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দরও কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য সংকট কাটানোর উদ্যোগের খবরে সোমবার অনেক দিন পর চাঙ্গাভাব দেখা যায় বাজারে। সেদিন ডিএসইএক্স ৮০ পয়েন্ট বাড়ে। লেনদেনও  দীর্ঘদিন পর ৫০০ কোটি টাকার ঘর ছাড়িয়ে যায়।

রোববার পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ‘বিশেষ’ সুবিধা দেয়ার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কয়েকটি শর্তে ব্যাংক গুলোকে এই সাময়িক তারল্য সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।এই টাকা পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব পোর্টফোলিওতে সরাসরি বিনিয়োগ করা যাবে অথবা তাদের সাবসিডিয়ারী কোম্পানিতে ঋণ দেয়া যাবে।

তার আগের দিন রোববার  সরকারের সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনার খবরে গ্রামীণ ফোনের (জিপি) ওপর ভর করে সূচক বাড়ে দুই বাজারে। রোববার ও সোমবার দুই দিনে ঢাকার বাজারে জিপির দর ৫০ টাকার বেশি বাড়ে।

কিন্তু সপ্তাহের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার বাজারের সেই চাঙ্গাভাব আর থাকেনি। এদিন জিপির শেয়ারের দরও ৩ টাকার মতো কমে ৩৫৯ টাকা ৯০ পয়সায় নেমে এসেছে।

২০১০ সালে বড় ধসের পর ২০১৭ সাল থেকে পুঁজিবাজারে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে; ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু তার পরের বছর আবার কমতে শুরু করে সূচক।

২০১৯ সালে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে সবাই প্রত্যাশা করলেও তেমনটি হয়নি। দিন যতো যাচ্ছিল বাজারের অবস্থা ততোই খারাপ হচ্ছিল। সূচক কমতে কমতে ডিএসইএক্স ৫০০০ পয়েন্টের নিচে নেমে এসেছিল। লেনদেন নেমে এসেছিল ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে।

এ অবস্থায় পুঁজিবাজার নিয়ে বাজারের অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কমাল ।

এর পর সরকারের সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনার খবর আসে গ্রামীণ ফোনের (জিপি)। ওই খবরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে পুঁজিবাজার।

আর সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকগুলোকে তারল্য সুবিধা বাড়ানোর সুযোগ দেওয়ায় চাঙ্গাভাবে ফিরতে শুরু করে বাজার।

বাজার পরিস্থিতি

মঙ্গলবার ঢাকায় ৪০৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। সোমবার এই বাজারে ৫১৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেদনদেন হয়েছিল।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সোমবার লেনদেনের অংক ছিল ২৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৫৮ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৭৪ পয়েন্টে।

মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩৫১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৩টির, কমেছে ২১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির দর।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ৮০ পয়েন্টে।

লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৫০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯টির, কমেছে ১৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।