গত সপ্তাহে টানা পাঁচ দিন দরপতনের পর চলতি সপ্তাহও শুরু হয়েছে বড় দরপতনের মধ্য দিয়ে।
সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৩ পয়েন্ট কমেছে।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৯১ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহের পাঁচ দিনে ডিএসইএক্স ১০৩ পয়েন্ট কমেছে।তার আগের সপ্তাহের পাঁচ দিনের চার দিনই দুই বাজারে সূচক পড়েছিল।
সূচকের পাশপাশি লেনদেনও কমে এসেছে। বাজারে এক ধরনের আস্থাহীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
নতুন বাজেটে পুঁজিবাজারে জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সবার প্রত্যাশা ছিল বাজেট পাসের পর বাজার ভালো হবে। কিন্তু সেটা না হয়ে উল্টো বাজারে দরপতন চলছেই।
“এই সময়ে বাজারে দরপতন সবাইকে অবাক করে দিচ্ছে। দিন যতো যাচ্ছে, বাজার ততোই খারাপ হচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে না আসলে বাজার স্বাভাবিক হবে না। আর সে কাজই সবাই মিলে করতে হবে।”
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, রোববার ডিএসইএক্স ৪২ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৭৯ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে।
রোববার ঢাকায় ৩৫৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৫১ কোটি টাকা।
রোববার ডিএসইতে ৩৫২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৬৩টির, কমেছে ২৬৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির দর।
অন্যদিকে সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯১ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ৮৮১ দশমিক ৩২ পয়েন্টে।
হাতবদল হয়েছে ১১ কোটি ৬৮ টাকার শেয়ার। বৃহস্পতিবার লেনদেনের অংক ছিল ১২ কোটি ২১ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৭০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ১৯৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬টির দর।