তিনি বলেছেন, নতুন বাজেটে পুঁজিবাজারে জন্য কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সবার প্রত্যাশা ছিল বাজেট পাসের পর বাজার ভালো হবে। কিন্তু সেটা না হয়ে উল্টো বাজারে দরপতন চলছেই।
গ্রামীণফোন এবং পিপলস লিজিংয়ের শেয়ারের দর অস্বাভাবিক কমে যাওয়া, ব্যাংকগুলোর কাছে টাকা না থাকা, গ্যাসের দাম বাড়ানোয় কোম্পানিগুলোর মুনাফা কমে যাওয়ার শঙ্কায় এই দরপতন চলছে বলে মনে করেন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী।
মঙ্গলবার পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি এই বিশ্লেষণ করেছেন।
শাকিল রিজভী বলেন, “গ্রামীণফোনের শেয়ারের দামের কিন্তু একটা বড় প্রভাব আছে আমাদের পুঁজিবাজারের সূচকের উপরে। এই শেয়ারের দাম কমে গেলে সূচক বড়ভাবে কমে যায়। আর বাড়লে বেশ বেড়ে যায়।”
তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারিতে গ্রামীণফোনের শেয়ারের দর ছিল ৪১০ টাকা। এখন তা ৩৪০ টাকায় নেমে এসেছে। এ সময়ে ৬০ টাকা দর হারিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
“এর একটা বড় প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে।”
“এছাড়া ব্যাংকগুলোর কাছে টাকা নেই। সরকারের শীর্ষ মহল থেকে বার বার তাগাদা দেওয়ার পরও ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামেনি। সবমিলিয়ে তারল্য সংকটে বাজারে লেনদেন বাড়ছে না।”
“আরেকটি নতুন সমস্যা যোগ হয়েছে বাজারে। আর সেটি হচ্ছে-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি। গ্যাসের দাম বাড়ায় কোম্পানিগুলোর মুনাফা কমতে পারে বলে ধারনা করছে বিনিয়োগকারীরা।যার প্রভাব পড়েছে বাজারে।”
আর এই দুরাবস্থার কারণে এবং আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে না পারায় অবসায়ন (লিকুইডেশন) করা হচ্ছে ব্যাংকবহির্ভূত এই আর্থিক প্রতিষ্ঠাকে। দায়দেনা শোধ করতে গঠন করা হবে দীর্ঘমেয়াদি স্কিম। সে অনুযায়ী গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনায় নিয়োগ হবেন একজন অবসায়ক (লিকুইডেটর)। এটা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান অবসায়নের উদ্যোগ।
পিপলস লিজিংয়ের দরও পুঁজিবাজারে প্রভাব ফেলেছে জানিয়ে শাকিল রিজভী বলেন, “এই শেয়ারটির দাম কমায় বাকি সব লিজিংয়ের শেয়ারের দামের উপর এর প্রভাব পড়েছে। কমছে সেগুলোরও দামও।”
“আর সবচেয়ে বড় কথা পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা ফিরে আসেনি বিনিয়োগকারীদের।আস্থা ফিরে আসার জন্য গভর্নেন্স ভাল করার সিদ্ধান্ত দৃশ্যমান হচ্ছে না,” বলেন শাকিল রিজভী।