‌বাজেটে ইতিবাচক পদক্ষেপের পরও দরপতন

প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপের পরও দরপতন হয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2019, 11:52 AM
Updated : 16 June 2019, 11:52 AM

অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করেছেন।

সেই বাজেটে নগদ লভ্যাংশ ৫০ হাজার টাকার কম হলে কর মাফ, নগদ লভ্যাংশকে উৎসাহিত করতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্টক লভ্যাংশ বিতরণের উপর ১৫ শতাংশ কর আরোপসহ বাজারের জন্য আরও কিছু ইতিবাচক ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

সবাই প্রত্যাশা করেছিল এ সব পদক্ষেপের কারণে বাজার ভালো হবে। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো।

বাজেটর ঘোষণার পর প্রথম লেনদেনে রোববার দুই বাজারেই মূল্যসূচকের পাশপাশি কমেছে লেনদেন। কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর।

টানা আট কার্যদিবস উর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর বাজেট ঘোষণার আগের দিন বুধবার মূল্যসংশোধন হয়েছিল বাজারে।বাজেট ঘোষণার দিন বৃহস্পতিবার দুই বাজারেই সূচকের পাশপাশি লেনদেন কিছুটা বেড়েছিল।

ছবি: পিআইডি

কিন্তু রোববার প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৩ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪৩০ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে অস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৮ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৩৫ দশমিক ৪০ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ১৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯০৫ পয়েন্টে।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৬২৪ পয়েন্টে।

রোববার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার লেনদেনের অংক ছিল ৫৭২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

৩৪৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ২০১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টির দর।

অপরদিকে সিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৬৮ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৩টির, কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দর।

লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

ঈদের ছুটির আগে থেকেই দুই বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ছুটির পরও সে ধারা অব্যাহত ছিল।ছুটির পর তিন দিনে ডিএসইএক্স প্রায় ১০০ পয়েন্ট বাড়ে।

ঈদের ছুটির আগে ও পরে টানা আট কার্যদিবসে ডিএসইএক্স ২২৫ পয়েন্ট বাড়ে।