চাঙ্গা পুঁজিবাজার

আস্থা ফিরে আসছে বাংলাদেশের দুই পুঁজিবাজারে। মূল্যসূচকের পাশাপাশি বাড়ছে লেনদেন। বাড়ছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2019, 11:11 AM
Updated : 11 June 2019, 11:13 AM

সপ্তাহের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়েছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্কিব সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৫৯ পয়েন্ট।

ঈদের ছুটির আগে থেকেই বাজারে ইতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ছুটির পর সে ধারা অব্যাহত রয়েছে।

ঈদের ছুটির পর তিন দিন লেনদেন হয়েছে বাজারে। এই তিন দিনে ডিএসইএক্স প্রায় ১০০ পয়েন্ট বেড়েছে।

এ নিয়ে টানা আট কার‌্যদিবস সূচক বাড়ল দুই বাজারে। এই আট দিনে ডিএসইএক্স ২২৫ পয়েন্ট বেড়েছে।

২৩ মে ডিএসইএক্স ছিল ৫ হাজার ২৫০ পয়েন্ট। ঈদের ছুটির আগে ৫ দিন এবং ছুটির পর ৩ দিনে সেই সূচক বেড়ে ৫ হাজার ৪৭৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বাজার বিশ্লেষক ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, সবার মধ্যে প্রত্যাশা ছিল ঈদ এবং বাজেটের পর বাজার ভালো হবে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে। তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বাজারে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ঈদের আগে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে। ২০১০ সালে ধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় ৯০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল পুন:র্বিনিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসি প্লেসমেন্ট শেয়ার বন্ধ এবং নতুন আইপিও আবেদন নিচ্ছে না। সর্বশেষ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানিতে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ এবং এককভাবে ২ শতাংশ শেয়ার ধারনের জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে।এছাড়া আরও কিছু ভালো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছে বিএসইসি।

“এ সব ইতিবাচক সিদ্ধান্তই বাজারে ইতিবাচক ফল বয়ে আনছে। বাজেটে ভালো কিছু থাকাবে বলে ইতোমধ্যেই অর্থমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন। সবমিলিয়ে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসছে।”

তবে বিএসইসি যে সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পথে রয়েছে সেগুলো দ্রুত বাস্তায়নের পরামর্শ দিয়েছেন শাকিল রিজভী।

বাজার পরিস্থতি

মঙ্গলবার ডিএসইতে ৫৭৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সোমবারের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৯৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৫২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২২৪টির, কমেছে ৭৫টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৩টির শেয়ার দর।

ডিএসইএক্স ৪৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৭৫ দশমিক ৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১২ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ২৪৪ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ২০ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯২১ পয়েন্টে।

অন্যদিকে সিএসইতে ৪৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৬৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৫ টির, কমেছে ৫৭ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬ টির দর।