পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসি সাধারণ বিনিয়োগারীদের কোটা ১০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কোটা একই পরিমাণ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার কমিশনের সভায় এ সিদ্ধান্তসহ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস ২০১৫ এর ২০টি সংশোধনী অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যা শিগগিরই জনমত গ্রহনের জন্য প্রকাশ করা হবে।
বিএসইসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, পরবর্তী আইপিও থেকে কোটার নতুন এই হার কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন থেকে অভিহিত মূল্যের আইপিও’র ক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের (এনআরবি ব্যতিত) জন্য ৫০ শতাংশ কোটা থাকবে। আগে এই কোটার হার ছিল ৪০ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বৃদ্ধির বিপরীতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কোটা ১০ শতাংশ কমে ৪০ থেকে ৩০ শতাংশ হবে।
অন্যদিকে বুকবিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কোটা বেড়ে হচ্ছে ৪০ শতাংশ। বর্তমান আইনে এই কোটার পরিমাণ ৩০ শতাংশ। অভিহিত মূল্যের আইপিওর মতো বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওতেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কোটা ১০ শতাংশ কমছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য৬০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষিত থাকে। এটি কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে।
সব শেয়ারে লক ইন ৩ বছর
কমিশনের সভায় সব শেয়ারে লক ইন ৩ বছর করার সিদ্ধান্ত য়ো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রসপেক্টাসে উল্লেখিত কোম্পানির সকল শেয়ারহোল্ডারের শেয়ার ৩ বছরের জন্য লক ইন (বিক্রয় নিষেধাজ্ঞা) হবে এবং তা এক্সচেঞ্জে প্রথম ট্রেডিংয়ের দিন থেকে গণনা করা হবে।
প্রাইমারী মার্কেট সংস্কারের জন্য কমিশনের গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে সব শেয়ারে লক ইন ৩ বছর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইপিও এবং তালিকাভুক্ত ব্যতিত অন্য সব কোম্পানি ইক্যুইটি শেয়ারের মাধ্যমে মূলধনের ইস্যুর ক্ষেত্রে কমিশন থেকে কোন সম্মতি নিতে হবে না। এজন্য অধ্যাদেশ ধারা ২ডি এর অধীনে খসড়া প্রজ্ঞাপনটি অনুমোদন করা হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় পূর্বের জারিকৃত ৯টি প্রজ্ঞাপন/আদেশ ইত্যাদি বাতিল করা হবে। আর একটি প্রজ্ঞাপন সংশোধিত আকারে জারি করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।