মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইডিএলসি ফাইন্যান্স জানুয়ারি-মার্চ সময়ে কর পরবর্তী নিট মুনাফা করেছে ৫৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এই অংক ১.৪২ শতাংশ বেশি।
২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৪৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪৬ পয়সা।
তবে তাদের মূলধন অনুপাতে আয় এবং সম্পদ অনুপাতে আয় কমেছে অর্থাত্ তাদের মূলধন ব্যবহারের দক্ষতা এবং সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা কমেছে।
বাৎসরিক মূলধন অনুপাতে আয় (রিটার্ন অন ইক্যুয়িটি) এবং সম্পদ অনুপাতে আয় (রিটার্ন অন অ্যাসেট) হয়েছে যথাক্রমে ১৬.৮৫ এবং ২.০৪ শতাংশ; যা গত বছর এই সময়ে ছিল ১৭.৯০ ও ২.২৯ শতাংশ।
বুক ভ্যালু পার শেয়ার গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের ৩১ টাকা ৮৭ পয়সা থেকে বেড়ে এ বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে ৩৪ টাকা ১৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু করে ঋণ সম্পদের পরিমাণ ৪.০১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭৩০ কোটি টাকায়। এই অর্জন এসএমই, কনজুমার ও কর্পোরেট পোর্টফলিওর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়েছে; যাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ ক্ষেত্রে বৃদ্ধির পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে ৪, ৬ এবং ৩ শতাংশ।
আইডিএলসির বর্তমান ঋণের মধ্যে ৪২ শতাংশ এসএমই, ৩৪ শতাংশ কনজুমার এবং ২৪ শতাংশ কর্পোরেট পোর্টফলিও দ্বারা গঠিত। মন্দ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২.২৯ শতাংশ; গত বছরে একই সময়ে যা ছিল ২.৮০ শতাংশ ।
আইডিএলসির পুজিবাজার ভিত্তিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোর নিট আয় বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। এই নিট আয় হ্রাসের পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে বিনিয়োগজনিত আয় হ্রাস পাওয়া।
আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও আরিফ খান প্রথম প্রান্তিকের এই তথ্য সম্পর্কে বলেন, “বাজারের তারল্য সংকট ও সুদের হার সম্পর্কে সতর্ক থাকা সত্ত্বেও আমরা ১০ শতাংশ নন-ব্যাংক ডিপোজিট বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে আমাদের ঋণ ও ডিপোজিট পোর্টফলিও বজায় রাখতে পেরেছি।”
“সামগ্রিকভাবে টার্ম ডিপোজিট আমাদের মোট তহবিলের ৮৭ শতাংশ অংশ দখল করে। এসবের সমন্বয় আমাদেরকে বাজারের এই দুরাবস্থাতেও তারল্য সংকট সহজে মোকাবিলা করার পাশাপাশি ব্যবসা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে।“
“বছরের বাকি সময়গুলোতে আমরা আরও সাফল্য আশা করছি মূলত আমাদের সম্পদ ভিত্তিতে সমন্বয় সাধন, মধ্যম মেয়াদী ফান্ডের তুলনামূলক হার এবং অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে।”
“আমরা শেয়ারহোল্ডারদের সর্বোচ্চ রিটার্নের জন্য শেয়ার বাজারে দক্ষতার সাথে বিনিয়োগ করে যাচ্ছি। এসবের সাথে সাথে সমাজের প্রতিও আমাদের দায়িত্ব আমরা পালন করে যাচ্ছি।“