পুঁজিবাজারে মূল্য সংশোধন

মূল্য সংশোধন হয়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2019, 11:42 AM
Updated : 6 May 2019, 12:08 PM

টানা তিন কর্মদিবস সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন সোমবার নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয়েছে লেনদেন। দিন শেষে দুই বাজারেই অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। কমেছে লেনদেনের অংকও।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতাকে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন হিসেবে দেখছেন। তাঁদের মতে, টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে অনেকের মধ্যে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতা দেখা গেছে। এটিই ও সোমবারের মূল্য সংশোধনে বড় ভূমিকা রাখে।

অব্যাহত দরপতনের পর গত সপ্তাহের চতুর্থ দিন বুধবার থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়ায়। রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই)  প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০৮ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বাড়ে।

আগের দুই কর্মদিবসেও সূচক বাড়ে দুই বাজারে। এই তিন দিনে ডিএসইএক্স ২১৯ পয়েন্ট বেড়েছিল।

কিন্তু সোমবার সেই সূচক ৫৩ পয়েন্ট পড়ে গেছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১০৯ পয়েন্ট।

আহমেদ রশিদ লালী

সোমবারের বাজার বিশ্লেষণ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য ব্রোকারেজ হাউসের মালিকদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এটা প্রফিট টেকিং (মূল্য সংশোধন)।  টানা দরবৃদ্ধির পর কিছুটা মুনাফা তুলে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

“সে কারণে বিক্রির চাপ বাড়ায় সূচক কমেছে।”

বাজার পরিস্থিতি

সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫২ দশমিক ৮২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৪২ দশমিক ০৮ পয়েন্টে।

সিএসই সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০৮ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৬ হাজার ৩৯৪ দশমিক ৭১ পয়েন্টে।

সোমবার ডিএসইতে ৪৬৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা রোববারের চেয়ে ৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা কম।

রোববার ডিএসইতে লেনদেন ছিল ৫৩৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৪৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ২৫৮টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টি কোম্পানির শেয়ার দর।

ডিএসইর অন্য দুই সূচক ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ২৩৩ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ২০ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৮১ পয়েন্টে।

অন্যদিকে সিএসইতে ২০ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এই লেনদেন আগের দিনের তুলনায় ৮ কোটি টাকা কম।

লেনদেন হয়েছে ২৩৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৪ টির, কমেছে ১৬৭ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির।