সোমবার বেলা ১টা পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬১ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১৭ শতাংশ ।
ওই সময় পর্যন্ত চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৭১ দশমিক ৪২ পয়েন্ট।
ঢাকার বাজারে ওই সময় পর্যন্ত ১৭৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়। আর চট্টগ্রামে লেনদেন হয় ৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার।
ওই সময়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৪০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৮১টির দার বাড়ে, ২০৯টির কমে; আর ৫০টির দর অপরিবর্তিত থাকে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬১ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৭৬ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছিল তখন।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৬টির দর বাড়ে, ১২৮টির কমে এবং ২৭টির দর অপরিবর্তিত থাকে।
আগের দিন রোববার ডিএসই সূচক ২৮ পয়েন্ট এবং সিএসই সূচক ৯৪ পয়েন্ট হারায়।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ মতিঝিলে ডিএসই ভবনের সামনে বিক্ষোভ করে সোমবার সকাল থেকে প্রতীক অনশনের ঘোষণা দেয়।
গত ২২ এপ্রিলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দাবি করেন, পুঁজিবাজার ঠিকই আছে, যে ওঠানামা হচ্ছে সেটা স্বাভাবিক।
কিন্তু রোববার সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি স্বীকার করলেন, দেশের পুঁজিবাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেই, ব্যাংক খাতের অবস্থাও নাজুক।
“পুঁজিবাজারটি এখন নিয়ন্ত্রণে নেই। তবে, সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেই সেটাও বলব না। পুঁজিবাজারের যেসব সমস্যা আছে তা চিহ্নিত করেছি। একে একে সবগুলি সমস্যার সমাধান দেব।”
সরকার পুঁজিবাজার নিয়ে আন্তরিক জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “সঙ্গত কারণেই পুঁজিবাজারের জন্য আগামী বাজেটে প্রণোদনা থাকবে। তবে কতটা থাকবে তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। অবশ্যই পুঁজিবাজারকে শক্তিশালীভাবে চালানোর জন্য যা কিছু দরকার সেটাই করা হবে।”