পুঁজিবাজারে অবকাঠামো অর্থায়ন নিয়ে রোববার এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই পরিকল্পনা জানান তিনি।
সালমান রহমান বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে আমরা খুব গভীরভাবে চেষ্টা করছি, বাংলাদেশ একটা ভালো বন্ড মার্কেট গড়ে তোলার এবং মার্কেট থেকে আমরা আমাদের দেশের অবকাঠামো গড়ে তুলব এবং শিল্পগুলোকে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থায়নের ব্যবস্থা করে দেব।”
বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যতম এই কর্ণধার বলেন, “আমাদের দেশে ব্যাংকিং খাতে এখন যে সমস্যাটি আছে, তার একটি বড় কারণ ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে মানুষ দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহার করতে চেয়েছে এবং বড় বড় শিল্প গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে।
“ব্যাংকের টাকাটা আসলে স্বল্প সময়ের জন্য মানুষ রেখে থাকে। আমাদের দেশে স্বল্প মেয়াদী টাকা নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী শিল্প গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে, এটা একটা বড় ধরনের ভুল হয়ে গেছে। এর ফলে আজকে অনেক বড় সমস্যায। এই সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে একটা ভালো বন্ড মার্কেটের খুবই দরকার।”
এই বন্ড মার্কেট বিকাশের জন্য পুঁজিবাজারকে কার্যকর রাখার উপর জোর দেন সালমান রহমান।
তিনি বলেন, “গতিশীল বন্ড মার্কেট বিকাশের জন্য আমাদের পুঁজিবাজারকে অবশ্যই কার্যকর রাখতে হবে। বর্তমানে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। আমাদের বেসরকারি খাতকে এ বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে এবং কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।”
পুঁজিবাজার নিয়ে দেশের মানুষের ‘ভ্রান্ত ধারণা’ রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
“বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ে মানুষের কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। বাংলাদেশ বড় দুটো ধস হয়েছে, এটা নিয়ে অনেক বড় জল্পনা-কল্পনা হয়েছে। আসলে সবাই যেটা বুঝতে ভুল করেছে, সেটা হচ্ছে পুঁজিবাজারে উত্থান-পতন এ বিষয়টি অত্যন্ত স্বাভাবিক, এ বিষয়টি মেনে নিতে হবে।”
“তবে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার নিয়ে আস্থার সঙ্কট আছে, তা কাটাতে কাজ করা জরুরি বলে আমি মনে করি,” বলেন তিনি।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি অবকাঠামো উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান ‘গ্যারান্টকো’ যৌথভাবে এই সম্মেলন আয়োজন করে।
ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, “বিগত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন সবার কাছে উদাহরণস্বরূপ। এদেশ এখন দ্রুততম সময়ে বিকাশমান অর্থনীতির ৫টি দেশের মধ্যে অন্যতম।
“এই ধারা বজায় রেখে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৮.১৩%। উন্নতির এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে বাংলাদেশের আধুনিক সময়ের ইকোনমিক পাওয়ার হাউজে পরিণত হওয়ার সক্ষমতা আছে।”