গ্রামীণফোনের লভ্যাংশ অনুমোদন

বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করেছে পূঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 April 2019, 01:22 PM
Updated : 23 April 2019, 01:22 PM

মঙ্গলবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর জিপি।

সভায় শেয়ার হোল্ডাররা ২০১৮ সালের জন্য ১৫৫ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ (ক্যাশ) এবং ১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ (ক্যাশ) অনুমোদন দিয়েছেন।

২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটির সর্বমোট লভ্যাংশ দাঁড়িয়েছে ২৮০ শতাংশ (শেয়ারপ্রতি ২৮ টাকা) ফাস্ট-ট্র্যাক অনলাইন পদ্ধতিতে লভ্যাংশ বন্টনের বিষয়টি নিশ্চিত করবে গ্রামীণ ফোন।

গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান পিটার বি. ফারবার্গ এবং গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল ফোলিসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভা পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির কোম্পানী সেক্রেটারী এস এম ইমদাদুল হক। 

জিপির পরিচালনা পর্ষদের প্রধান পিটার বি. ফারবার্গ বলেন, "প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত যেকোনো নীতিমালা বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা আইন এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত পদ্ধতি অনুযায়ী হওয়া উচিৎ।এতে করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট খাতের সার্বিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি গতিশীল হবে।”

“এসএমপি নীতিমালা এমন হওয়া উচিৎ না যার কারণে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও বিনিয়োগের সুযোগ কমে যায়।"

সাম্প্রতিক সময়ে অডিটের মাধ্যমে গ্রামীণফোনের কাছ থেকে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা সরকারের পাওনা বিষয়ে গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান বলেন, “এ ধরনের দাবি আইনগতভাবে ভিত্তিহীন হিসেবে গণ্য করছে গ্রামীণফোন। অংশীদারদের স্বার্থ রক্ষায় যেকোনো ধরনের অগ্রহণযোগ্য দাবির বিরুদ্ধে গ্রামীণফোন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

২০০৯ সালে শেয়ার বাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে অন্তর্ভূক্তির পর থেকে এবার ১০ম এজিএম অনুষ্ঠিত হলো গ্রামীণফোনের।