বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দরই পড়ে গেছে। প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ছোট বিনিয়োগকারীরা।
বাজারে টানা দরপতনের মধ্যে সোমবার পুঁজিবাজার ‘ঠিকই আছে’ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের এমন দাবির পর মঙ্গলবার বড় দরপতন হয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৩ পয়েন্ট কমেছে। শতকরা হিসাবে যা ১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
আপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৮৫ পয়েন্ট।
মঙ্গলবার ডিএসইতে ২৯৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসইতে হয়েছে ১২ কোটি ৭১ লা টাকা।
শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের একটি সংগঠন আন্দোলন চালালেও এ বিষয়ে সংবাদপত্রে আসা খবর প্রত্যাখ্যান করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আপনারা তো পত্রিকায় লিখতেছেন যে পুঁজিবাজার নাই; বাংলাদেশ নাই। আমরা নাই- এরকম লেখালেখি শুরু করছেন। কোথায় সেরকম ঘটনা ঘটছে? মার্কেট কোথায় ফল করছে?
“সূচক ৫৯০০ হয়েছিল। এখন ৫৩০০ হয়েছে। পুঁজিবাজারে সূচক এরকম শর্ট টার্ম ওঠানামা করতে পারে।”
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, মঙ্গলবারর ডিএসইএক্স ডিএসইএক্স ৬২ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৬০ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৫ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২১৫ দশমিক ৪১ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২০ দশমিক ২০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৭২ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে।
অন্যদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৪১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৩৬টির, কমেছে ১৮৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির দর।
ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ
দরপতনের প্রতিবাদে মঙ্গলবারও মতিঝিলে ডিএসইর সামনে বিক্ষোভ করেছে ছোট বিনিয়োগকারীরা। এ সময় তারা বিএসইসির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেন।
দুপর ১টায় ৪০/৫০ জন বিনিয়োগকারী বিভিন্ন বোকারেজ হাউজ থেকে ডিএসইর সামনে জড়ো নন। বেলা ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত তারা সেখানে বিক্ষোভ করেন।
ছোট বিনিয়োগকারীদের নেতা মিজানুর রশীদ চৌধুরী বলেন, “মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বিএসইসির চেয়ারম্যান অবৈধভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। খারাপ কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের মাধ্যমে কমিশন নিচ্ছে।”