তিনি বলেছেন, “সরকারের প্রতি বিশ্বাস রাখুন। আমরা ঠকবো না, পুঁজিবাজার থেকে জিতবই। আমি অ্যাকাউন্টসের লোক; আমি লস দেবনা, লাভ দেব। পুজিবাজার আমার জন্য চ্যালেঞ্জ।”
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তা কনফারেন্স ঢাকা ২০১৯' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
মুস্তাফা কামাল বলেন, “পুঁজিবাজারের ইন্ডেক্স (সূচক) কত হবে তা আমি বলবো না। ইনডেক্স ঠিক করে দিবে অর্থনীতি। অর্থনীতি যত ভাল হবে, পুঁজিবাজার তত ভাল হবে।”
বিনিয়োগকারীদের বুঝে-শুনে শিক্ষা নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন তিনি ।
“আমাদের ওপর বিশ্বাস করে প্রচুর বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করেছেন। তাদের ওপর আস্থা রেখে আমি কিন্তু শেয়ার বিক্রি করতে পারিনি। আমার শেয়ারের দাম ৩ হাজার টাকা হয়ে গেছিল। আমি কয়েক হাজার কোটি টাকা মার্কেট থেকে নিতে পারতাম। আমি একটা শেয়ারও বিক্রি করিনি।”
“পরবর্তীতে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে অনুমতি নিয়ে আমার সকল শেয়ার বিক্রি করেছি। কিন্তু আমি চাইলে অনেক প্রফিট করতে পারতাম। কিন্তু করিনি।”
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিএমসি কামালের সাবেক মালিক হচ্ছেন অর্থমন্ত্রী মুস্তাফা কামাল।
“নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য মিথ্যা রটনার মাধ্যমে আরেকজন ফেলো ক্লায়েন্টকে ঠকায়। নিজের পরিবারের সদস্যের মতো আর একজন ব্যবসায়ীকে ঠকায়। এটা ঠিক না।”
“আমাদের মধ্যে সবাই ভালো আমি বলবো না। এখানে কেউ কেউ আসে, চিন্তা করে কিভাবে কত তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়া যায়। এটা কিন্তু ঠিক না।”
তিনি বলেন, “লাভবান হতে কিছু কিছু মানুষ কান কথা বলে। মিথ্যা কথা বলে। এটা না করে আমাদের সবাইকে মিলেমিশে লাভবান হতে হবে।
“অর্থনীতির সঙ্গে লাভবান অটোমেটিক্যালি হবেন। আমাদের অর্থনীতি ও পুঁজিবাজার একসাথে গাঁথা। পুঁজিবাজারকে বাদ দিয়ে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না।”
বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আর্থিক বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, কমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী, স্বপন কুমার বালা এবং কামালুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।